↬ ভূতত্ত্ব বা ভূবিদ্যা (Geology)
↬ শিলা (Rock)
↬ মাটি (Soil)
ভূতত্ত্ব বা ভূবিদ্যার আলোচনার বিষয়সমূহ কোনগুলো? —
ভূতত্ত্ব বা ভূবিদ্যা হলো ভূবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে পৃথিবী, পৃথিবীর গঠন,
পৃথিবী গঠনের উপাদানসমূহ, পৃথিবী ইতিহাস এবং এর পরিবর্তন ইত্যাদি ভূতত্ত্বের
আলোচনার বিষয়।
পৃথিবীর আকার ও আকৃতি সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে কি বলে? — জিওডেসি (Geodesy)।
পৃথিবী তৈরির প্রধান উপাদান সমূহ পর্যায়ক্রমে :
- লৌহ = ৩২.১%
- অক্সিজেন = ৩০.১%
- সিলিকন = ১৫.১%
- ম্যাগনেসিয়াম = ১৩.৯%
- সালফার = ২.৯%
- নিকেল = ১.৮%
- ক্যালসিয়াম = ১.৫%
- অ্যালুমিনিয়াম = ১.৪%
- অন্যান্য = ১.২%
পৃথিবীর ভূগর্ভের স্তর কয়টি ও কী কী? —
৩ টি। যথা— অশ্মমণ্ডল, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল।
ভূত্বক কী? — ভূপৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক।
ভূত্বকের গড় গভীরতা কত? — প্রায় ১৭ কি.মি.
সিয়াল (Sial) কী? —
ভূত্বকের যে স্তর সিলিকন (Si) ও অ্যালুমিনিয়াম (Al) দিয়ে গঠিত, সে স্তরকে
সিয়াল (Sial) বলে।
সিমা (Sima) হলো —
সমুদ্র তলদেশের ভূত্বকের প্রধান উপাদান সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়াম (Mg) যা
সিমা (Sima) নামে পরিচিত।
মোহোবিচ্ছেদ স্তর কী? —
ভূত্বক এবং গুরুমণ্ডল পৃথককারী পাতলা পর্দাকে মোহোবিচ্ছেদ বলে। [ আবিষ্কারক
বিজ্ঞানী মোহোরোভিসিক এর নামানুসারে ]
গুরুমণ্ডল কাকে বলে? —
অশ্মমণ্ডলের নিচে প্রায় ২৮৮৫ কি.মি. পর্যন্ত পুরুমণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে।
গুরুমণ্ডল মূলত কোন শিলা দিয়ে গঠিত? — ব্যাসল্ট (Basalt)।
কেন্দ্রমণ্ডলের বিস্তৃতি কত? —
গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত এই মণ্ডল বিস্তৃত।
কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান উপাদান লোহা (Fe) ও নিকেল (Ni) কি নামে পরিচিত? —
নিফে (NiFe)।
ভূপৃষ্ঠে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে? — অ্যালুমিনিয়াম (৮.১%)।
ভূপৃষ্ঠ থেকে গর্ত করে নিচের দিকে যেতে থাকলে —
তাপ ও চাপ উভয়ই বাড়বে।
খনিজ (Mineral) কাকে বলে? —
কতগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগিক পদার্থের
সৃষ্টি করে, তাকে খনিজ (Mineral) বলে।
একটিমাত্র মৌল দিয়ে গঠিত খনিজ কোনগুলো? —
হীরা, সোনা, তামা, রূপা, পারদ ও গন্ধক।
সবচেয়ে কঠিন খনিজ কোনটি? — হীরা।
সবচেয়ে নরম খনিজ হলো — টেলক।
উৎপত্তি অনুসারে ভূত্বকের শিলা কয় ধরনের? —
৩ ধরনের। যথা— আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা।
আগ্নেয় শিলা কাকে বলে? —
পৃথিবীর শুরু হতে যে সব শিলা উত্তপ্ত গলিত অবস্থা হতে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে কঠিন
হয়েছে, তাই আগ্নেয় শিলা।
আগ্নেয় শিলার অন্য নাম কী? — প্রাথমিক শিলা বা অস্তরীভূত শিলা।
পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠন করে তাকে বলে — পাললিক শিলা।
রূপান্তরিত শিলা কী? —
আগ্নেয় ও পাললিক উভয় প্রকার শিলার তাপ, চাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে এর খনিজ
উপাদান ও বুনটের পরিবর্তন হয়ে যে নতুন শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে রূপান্তরিত শিলা
বলে।
পৃথিবীর বিশাল প্রাকৃতিক শোধনাগার বলা হয় — মাটিকে।
সাধারণ আদর্শ মাটিতে কতভাগ জৈব পদার্থ থাকে? — ৫%।
প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে মাটি কত প্রকার? —
৫ প্রকার।
বুনটের উপর ভিত্তি করে মাটি কত প্রকার? — ৩ প্রকার। (বেলে, দো—আঁশ এবং এঁটেল মাটি)
বেলে মাটি হলো — ৭০% বা তার বেশি বালিকণা সমৃদ্ধ মাটি।
দো—আঁশ মাটি কাকে বলে? — যে মাটিতে বালি, পলি, কর্দমকণা প্রায় সমানুপাতে থাকে, তাকে দো—আঁশ মাটি
বলে।
কৃষিকাজের জন্য আদর্শ মাটি বলা হয় কোনটিকে? — দো—আঁশ মাটিকে।
ভারী মাটি বলা হয় — এটেল মাটিকে। (৪০—৫০% কর্দমকণা থাকে বলে)।
মনে রাখুন :
মাটি | পানি ধারণক্ষমতা | পানি শোষণক্ষমতা |
---|---|---|
বেলে মাটি | সর্বনিম্ন | সর্বোচ্চ |
দোআঁশ মাটি | বেশি | বেশি |
এঁটেল মাটি | সর্বোচ্চ | সর্বনিম্ন |