মানব দেহ
(Human Body)
↬ শ্বসনতন্ত্র (Respiratory System)
↬ স্নায়ুতন্ত্র (Nervous System)
শ্বসন কী? —
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবকোষস্থ খাদ্যবস্তু (শর্করা) অক্সিজেনের
উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি ও
তাপশক্তিতে রূপান্তরিত ও মুক্ত হয় এবং উপজাত হিসাবে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড
উৎপন্ন হয়, তাকে শ্বসন বলে।
শ্বসন কত প্রকার ও কী কী? —
২ প্রকার। যথা : (ক) সবাত শ্বসন ও (খ) অবাত শ্বসন।
সবাত শ্বসন কাকে বলে? —
যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের অংশগ্রহণ অপরিহার্য, তাকে সবাত শ্বসন বলে।
অবাত শ্বসন কী? —
অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে যে শ্বসন হয় তাকে অবাত শ্বসন বলে।
প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কী? —
ফুসফুসে বায়ুর প্রবেশকে প্রশ্বাস এবং ফুসফুসের বায়ু ত্যাগকে নিঃশ্বাস বলে।
বায়ুমণ্ডল কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কত হলে কোনো প্রাণি বাঁচতে পারবে না? —
২৫% এর বেশি হলে।
মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস কী? — শ্বসন।
শ্বসন কোথায় ঘটে থাকে? — মাইটোকন্ড্রিয়ায়।
কোষের শ্বসন অঙ্গাণু বলা হয় কোনটিকে? — মাইটোকন্ড্রিয়াকে।
শ্বসনে নির্গত হয় — কার্বন ডাই অক্সাইড।
সবাত শ্বসনে ১ অনু গ্লুকোজ হতে কয় অনু পানি পাওয়া যায়? — ৬ অনু।
পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা কত? — ৬ লিটার।
ফুসফুস যে পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে তাকে কী বলে? — প্লিউরা।
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয় মানব দেহের — ফুসফুস।
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণকে কি বলে? — Epistaxis
স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি ২০ মিনিটে কত ঘনফুট
নির্মল বায়ু প্রয়োজন? — ১০০০ ঘনফুট।
মানুষের ফুসফুসে কতটি করে ব্রঙ্কোপালমোনারি সেগমেন্ট থাকে? —
ডান ফুসফুসে ১০ টি এবং বাম ফুসফুসে ১০ টি করে ব্রঙ্কোপালমোনারি সেগমেন্ট
থাকে।
ফুসফুসের প্রদাহকে কি বলে? — নিউমোনিয়া।
স্নায়ুকোষ বা নিউরন কী? —
স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যগত একককে নিউরন বা স্নায়ুকোষ বলে।
মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ কোনটি? — নিউরন।
মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা কত? — প্রায় ১০ বিলিয়ন (১ হাজার কোটি)।
স্নায়ুতন্ত্র কী? —
নিউরন সমন্বিত যে তন্ত্রের সাহায্যে দেহ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া
দিয়ে বিভিন্ন দৈহিক ও শারীরবৃত্তীয় কাজের সামঞ্জস্য রক্ষা করে দেহকে পরিচালিত
করে, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ কোনটি? — মস্তিষ্ক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের গড় ওজন কত? — ১.৩৬ কেজি।
মস্তিষ্কের আবরণীর নাম কী? — মেনিনমেস।
মস্তিষ্কের সেরিব্রাম (সেরিব্রাল কর্টেক্স) এর কাজ —
মানুষের চিন্তাশক্তি, শীত–গ্রীষ্ম, লজ্জা, ক্রোধ ইত্যাদি অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ
করে।
হাইপোথ্যালামাসের কাজ কী? — মানবদেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
একজন মানুষের বুদ্ধির বিকাশ সম্পন্ন হতে কত বছর লাগে? — ২৪ বছর।
সুষুম্নাকাণ্ডের ওজন কত? — ৩০ গ্রাম।
মানুষের করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা কত? — ১২ জোড়া।
মস্তিষ্কের স্টোকের কারণ কয়টি? —
২ টি। (মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ৫ মিনিট অফ থাকলে মানুষের মৃত্যু হয়)।
অটিজম কী? — স্নায়ুর বিকাশজনিত সমস্যার একটি বিস্তৃত রূপ।
একটি পূর্ণাঙ্গ স্নায়ু কোষকে বলা হয়? — নিউরন।
নারভাস সিস্টেমের স্ট্রাকচারাল এবং ফাংশনাল ইউনিটকে বলে? — নিউরন।
মানুষের স্পাইনাল কর্ডের দৈর্ঘ্য কত? — প্রায় ১৮ ইঞ্চি।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা ক্ষয় পেতে থাকে স্নায়ু কোষের —
এক–চতুর্থাংশ ধ্বংস হয়ে গেলে।
নখ বা চুল কাটলে আমরা ব্যথা পাই না কেন? —
এদের মধ্যে কোনো স্নায়ু নেই বলে।
' স্ট্রোক ' আকস্মিক অজ্ঞান বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে— এটি কি? —
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং রক্ত প্রবাহে বাঁধা।
মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কি রোগ হতে পারে? — পারকিনসন।
ইনসোমনিয়া কী? — স্নায়ুরোগ।