মানব দেহ
(Human Body)
↬ গ্রন্থি (Gland)
↬ রেচনতন্ত্র (Excretory System)
গ্রন্থি কাকে বলে? —
গঠনগত ও কার্যগতভাবে বিশেষিত যে কোষ বা কোষ গুচ্ছ দেহের বিভিন্ন জৈবনিক
প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পদার্থ ক্ষরণ করে, তাকে গ্রন্থি বলে।
গ্রন্থি মূলত এক ধরনের রূপান্তরিত — কলা বা টিস্যু।
গ্রন্থি কত প্রকার ও কী কী? —
২ প্রকার। যথা : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি এবং বহিঃক্ষরা গ্রন্থি।
কোন গ্রন্থিকে মাস্টার গ্লান্ড বা প্রভু গ্রন্থি বা গ্রন্থিরাজ বলে? —
পিটুইটারী গ্রন্থি।
চোখের পানির উৎস কোনটি? — ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।
হরমোন (Hormone) কী? —
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসৃত যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ রক্ত বা লসিকার মাধ্যমে
পরিবাহিত হয়ে দেহের দূরবর্তী স্থানে পৌঁছে নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি
সম্পন্ন করে এবং ক্রিয়া শেষে নিজে নিঃশেষ হয়ে যায়, তাকে হরমোন বলে।
হরমোন মানবদেহের রাসায়নিক দূত হিসেবে কাজ করে কোনটি? — হরমোন।
মানবদেহের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হতে কোনটি নিঃসৃত হয়? — হরমোন।
উচ্চ রক্তচাপের জন্য মূলত দায়ী কোনটি? —
থাইরয়েড গ্রন্থি। (পিটুইটারী ও অ্যাড্রনালিন গ্রন্থিও কিছুটা দায়ী)।
অতিরিক্ত শর্করা দেহে জমা থাকে? — গ্লাইকোজেন রূপে।
অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন রূপে দেহের কোথায় জমা থাকে? — যকৃতে।
অতিরিক্ত খাদ্য হতে লিভারে সঞ্চিত সুগার হলো — গ্লাইকোজেন।
লিভারের গ্লাইকোজেনকে ভেঙে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে — গ্লুকাগন।
আইটেল অব লেঙ্গারহেন্স কার কলাস্থানিক বৈশিষ্ট্য? — অগ্ন্যাশয়।
ইনসুলিন কে আবিষ্কার করেন? —
ফ্রডরিক গ্র্যান্ট বেনটিং এবং তার ছত্র চার্লস বেস্ট।
ইনসুলিন প্রথম কত সালে কোন দেশে আবিষ্কৃত হয়? — ১৯২২ সালে কানাডায়।
ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোন গ্রন্থি থেকে? — অগ্ন্যাশয়।
ইনসুলিন কী? — এক ধরনের হরমোন।
কোন হরমোনের অভাবে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস হয়? — ইনসুলিন।
ডায়াবেটিস রোগীর দেহে ইনসুলিন দেওয়া হয়? —
গ্লুকোজের পরিপাক নিয়ন্ত্রণের জন্য।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাবে হয়? — রক্তের গ্লুকোজ।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ২০০ mg/dL এর বেশি হয় কোন রোগে? —
ডায়াবেটিস।
মানুষের অস্থির সাথে যে হরমোন জড়িত তা হলো — প্যারাথরমোন।
ভয় পেলে গায়ের লোম খাড়া হয় / সংকটকালীন বা আপদকালীন হরমোন কোনটি? —
অ্যাডরিনালিন।
দাড়িগোঁফ গজায় — টেসটোস্টেরন হরমোনের জন্য।
কোন হরমোন টি মানুষের ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয়? — প্রোজেস্টেরন।
কোন হরমোন রক্তে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে করে? — থাইরোক্যালসিটোননিন।
রেচন কী? —
যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় দেহের নাইট্রোজেনজাত বর্জ্য পদার্থ (ইউরিয়া, ইউরিক
এসিড, ক্রিয়েটিনিন) দেহ থেকে দ্রুত ও নিয়মিত নিষ্কাশিত হয় তাকে রেচন বলে।
মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি? — কিডনি বা বৃক্ক।
পূর্ণবয়স্ক মানুষের বৃক্কের ওজন কত? — ১৫০ গ্রাম।
বৃক্কের কার্যকরী একক বলা হয় কোনটিকে? — নেফ্রন।
একজন স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন কত মি.লি. মূত্র ত্যাগ করে? — ১৫০০ মিলি।
হেমোডায়ালাইসিস চিকিৎসা পদ্ধতি — কিডনি বিকলতার।
গ্লোমোরোলোনেফ্রাইটিস কোন অংশের অসুখ? — কিডনি।
অসমোরেগুলেশান মানব দেহের কোন অঙ্গের মাধ্যমে হয়ে থাকে? — বৃক্ক।
প্রতিটি বৃক্কে নেফ্রন থাকে? — প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ।
শরীর হতে বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া বের করে দেয় — কিডনি।
আজিবুল হাসান