৭ম শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা : ৫ম সপ্তাহ
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :
১। সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা : ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধন রচনা লিখতে হবে।
নমুনা সমাধান
আমাদের মহানবী কখনো কাউকে কোন ভূল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে বিচার দিতেন না। বরং মেধা ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে সৎ পথ দেখাতেন।
বৌদ্ধ দেবকে তার পিতা কখনো ঘর বন্ধি করতে পুরোপুরি সক্ষম হয় নি, তাকে গরীবের কষ্ট বিচলিত করত বলে তিনি গৃহত্যাগ করে, তাদের মঙ্গল কাজ করেন।
বিজ্ঞানী নিউটন আট বছর পর্যন্ত শব্দহীন ছিলেন নিজের ইচ্ছায়, কারণ তিনি সবসময় অন্যভাবে সকল কিছু বিচার বিবেচনা করতেন।
আমাদের দেশে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তাতে কায়িক শ্রমের ভূমিকা বাঙ্গালি পালন করলেও মূল মেধা ছিল বঙ্গবন্ধুর।
তাই বলা যায় পরিশ্রম ছাড়া কোন উন্নতি সম্ভব না। একজন মানুষ ততোটা সফল হয় যতটা সে পরিশ্রমী। একমাত্র পরিশ্রমই সাফল্যের উচ্চাসনে নিয়ে যেতে পারে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন পেশার মানুষ আছে। যেমন- কামার, কুমার, জেলে, নাপিত, কুলি, মজুর ইত্যাদি। এরা নিজ নিজ কাজ আনন্দের সাথে করে বলেই এরা পরিশ্রমী হয়ে ও খুশি এবং এরাই আরামদায়ক জীবন যাপন করে।
কায়িক শ্রম দেহ ও মনের জন্য খুবই জরুরি। কায়িক শ্রম শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা জোগায়। এমনকি দেহের গঠন কাঠামো ঠিক রাখে। ফলে কাজে মন ও প্রফুল্ল থাকে। চীনের মহা প্রাচীর এই কায়িক শ্রমেরই এক বিশাল উদাহরণ।
সভ্যতার বিকাশে মেধা শ্রমের গুরুত্ব ব্যাপক। মেধা শ্রম না থাকলে কোন কাজই সফল হয় না। মেধা শ্রমকে কাজে লাগিয়ে সকল কাজের সঠিক পরিকল্পনা করা যায়।
বিজ্ঞানী, দার্শনিক, গণিতবিদ, চিত্রশিল্পী, লেখক, কবি ইত্যাদি পরিচয় বহন করে মেধা শক্তির প্রভাবে। ছবি আঁকা, গান বা নৃত্য চর্চা ইত্যাদি মননশীল কাজ, মানসিক প্রশান্তির জন্য এসবে মনোযোগী হয় অনেকেই। মেধা শক্তির জোরে এ কাজগুলো হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের পেছনে কাজ করে মেধা শ্রম।
তাই সর্বোপরি বলা যায় যে, মেধা শ্রম ও কায়িক শ্রম কোনটি ছাড়া জীবন ও সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। মানবজীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আরো দেখুন :
৬ষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৫ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
👎
ReplyDelete