অনুচ্ছেদ : পাঠ্যচক্র

পাঠ্যচক্র


কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি দল গঠন করে সমবেতভাবে পাঠ করাকে পাঠচক্র বলে। বর্তমানে পাঠচক্র আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র' এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনে পাঠ্যচক্রের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে পাঠ্যচক্র বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কোনো একটি বিষয়ের উপর প্রত্যেক সদস্য একের পর এক পাঠ করে পাঠ্যচক্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করব। আবার কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদি সময়ে পাঠ্যচক্রে সম্পৃক্ত দলটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ বাসায় নির্ধারিত বিষয়ে পাঠ করে কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনে ঐ বিষয়ের পঠিত অংশ নিয়ে আলোচনা করে এক্ষেত্রে শিক্ষনীয় বিষয়, কোনো বিশেষ উদ্ধৃত ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করে নিয়ে এসে ঐ বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়। একটি বই পড়ের একজন মানুষের পক্ষে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে পাঠচক্রের সুবিধা হচ্ছে প্রত্যেকের শিক্ষনীয় জ্ঞান ও ভাবনার বিষয় সকলের সাথে সহজেই আদান-প্রদান করা যায়। এছাড়া পঠিত বিষয়ের উপর ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করার ক্ষমতা তৈরি হয় পাঠচক্রের ফলে। পাঠচক্রের আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। সারাদেশে এর বিস্তৃতি ঘটানো উচিত। তাহলেই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশ ঘটবে। তবেই আমরা মননশীল উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারব।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post