৬ষ্ঠ শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : গার্হস্থ্য বিজ্ঞান : ৬ষ্ঠ সপ্তাহ : ২০২১

৬ষ্ঠ শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
৬ষ্ঠ সপ্তাহ

শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য লিখ।

শিশুকালের নাম বয়স সীমা বৈশিষ্ট্য
১. নবজাতককাল
২. অতি শৈশবকাল
৩. প্রারম্ভিক শৈশব
৪. মধ্য শৈশব

তুমি কী সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবে? যুক্তি দিয়ে বোঝাও।

নমুনা সমাধান

১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদে ১৮ বছরের নিচে সকলে শিশু বলে বিবেচিত। কিন্তু এদের রয়েছে বিভিন্ন বয়সকাল, যা তাদের পূর্ণাঙ্গ বয়সে পৌঁছতে সাহায্য করে। শিশুর বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক জীবন প্রকিয়া। এক এক বয়সে সে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে থাকে। এক সদ্যজাতশিশু এবং একজন ৫ বছরের শিশুর বয়স এক নয়। তাই বয়স অনুসারে শিশুটি তার কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা তা যাচাই করা বাবা মার দায়িত্ব। বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালকে বিভিন্ন নামকরণ করা হয়। যেমন-

শিশুকালের নাম বয়স সীমা বৈশিষ্ট্য
১.
নবজাতককাল
জন্মমুহূর্ত থেকে ২ সপ্তাহ
যে সব শিশু জন্মের সময় লালছে বা গোলাপি বর্ণের হয়, জন্ম মুহূর্তে কাঁদে, স্বাভাবিকভাবে দুধ খেতে পারে, তারাই সুস্থ নবজাতক, এরা প্রায় দিনে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ঘুমায়। দু-তিন ঘণ্টা পর জেগে ওঠে, আহার করে, মলমুত্র ত্যাগ করে আবার ঘুমায়। এরা ঠোঁটের কাছে আঙ্গুল রাখলে চুষতে থাকে। হাতের তালুতে কিছু রাখলে তা শক্ত করে চেপে ধরে। হঠাৎ কোন শব্দে চমকে ওঠে।
২.
অতি শৈশবকাল
২ সপ্তাহ থেকে ২ বছর পর্যন্ত
নবজাতকের ২ সপ্তাহ পর থেকে ২ বছর সময়কালকে অতি শৈশবকাল বলা হয়। এ সময় শিশুদের বিকাশ অতি দ্রুত হয়। ৬ মাস বয়স থেকে জন্মকালীন ওজন দ্বিগুণ হয়। যা একবছরে তিনগুণে দাঁড়ায় এবং ২ বছরে চারগুণ, ৭ মাস থেকে দাঁত ওঠে। এসময় তারা হাঁটতে পারে। লাফালাপি করতে পারে। কথা ও বলতে পারে। সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশু তাদেরকেই বলতে পারব যাদের বয়সের সাথে সাথে ওজন, উচ্চতা, চোখ স্বচ্ছ, চামড়া, চুল চকচকে এবং চেহারায় আনন্দ ও পরিতৃপ্তির চাপ আছে।
৩.
প্রারম্ভিক শৈশব
২ বছর থেকে ৬ বছর পর্যন্ত
শৈশবের প্রথম পর্যায় হলো ২ বছর থেকে ৬ বছর সময়কাল পর্যন্ত। এ বয়সকে খেলার সময়ও বলা হয়। এ সময় শিশু প্রাক বিদ্যালয়েও যাওয়া শুরু করে। এ সময়টা তাদের জন্য আনন্দের সময়। পৃথিবীটা এ সময় বিরাট এক বিস্ময় তাদের কাছে। এরা এ সময় অনর্গল কথা বলে। অনেক কিছু শিখতে চায়। প্রচুর প্রশ্ন করে, এ সময় প্রকৃত বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। তাই এ সময়ে এদের সাথে সহজ, সুন্দরভাবে কথা বলা প্রয়োজন এবং ভালো মন্দের জ্ঞান দেওয়ারও দরকার হয়।
৪.
মধ্য শৈশব
৬ বছর থেকে ১১ বছর পর্যন্ত
মধ্য বয়সে শিশুর শারীরিক বিকাশ ধীর গতিতে চলে। এমনকি সমাজ জীবনে আসে বিস্ময়কর পরিবর্তন। এ সময় তারা দলীয়ভাবে খেলা করে। এমনকি নিজের কাজ নিজে করার দক্ষতা অর্জন করে। সমবয়সীদের তারা প্রতিযোগী মনে করে। নতুন নতুন কাজ তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলার পাশাপাশি, বিভিন্ন কাজের ব্যর্থতা হতাশা এনে দেয়। এছাড়া রাগ, অন্যকে আঘাত, অল্পতে কান্না করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়, তাই যত্ন সহকারে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

তুমি কী সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবে? যুক্তি দিয়ে বোঝাও।
আমি মনে করি প্রতিটি শিশুর সাথে খুবই যত্নসহকারে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায় অতি আদরে শিশু ভালো মন্দর ধারণা করা ভূলে যায় তখন কঠোর হতে হলেও হওয়া উচিত। শুরু থেকে যদি সঠিক শিক্ষা, এবং উপযুক্ত পরিচর্যা করা যায় তাহলে ভবিষ্যতের ফলও আশা স্বরূপ হয়।


আরো দেখুন :

৬ষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post