৯ম শ্রেণি : অ্যাসাইনমেন্ট : বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা
৬ষ্ঠ সপ্তাহ
বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধুসভ্যতার অবদান সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে উভয় সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর। (৩০০ শব্দ)
নমুনা সমাধান
বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধুসভ্যতার অবদান সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে উভয় সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর প্রতিবেদন তৈরি :
তারিখ : ০৯ জুন, ২০২১
বরাবার
প্রধান শিক্ষক,
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
চট্টগ্রাম
বিষয় : বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবদান সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি সম্বলিত প্রতিবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশক্রমে “বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবদান” সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি নিম্নে পেশ করা হলো।
বিনীত নিবেদক,
আপনার একান্ত বাধ্যগত ছাত্রী
নাম : শান্তা বিশ্বাস তমা
শ্রেণি : ৯ম
রোল : ০৩
“বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবদান”
মিশরীয় সভ্যতা
মিশরীয় সভ্যতার ছবি |
মিশরীয় সভ্যতার সামাজিক অবস্থা : খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ অব্দ পর্যন্ত নীল নদের অববাহিকায় একটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। সে সময়ে প্রাচীন মিশরে রাজবংশীয়দের শাসনামল হয়। মূলত ঐ শাসনামল থেকে মিশরীয় সভ্যতার শুরু। মিশরীয় সভ্যতা ছিল কৃষি নির্ভর। কিন্তু কৃষি কাজের মানুষের তুলনায় অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে মানুষদের বেশি মূল্য দেয়া হত। যেমন- রাজপরিবার, পুরোহিত, অভিজাত, লিপিকার, ব্যবসায়ী, শিল্পী এবং কৃষক ও ভূমিদাস শ্রেণী, মিশরীয়রা নিজেদের সূর্য দেবতার বংশধর মনে করত। মিশরীয়দের আগমনের ফলে মানবসভ্যতার অনেক ধ্যানধারণা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠানের জন্ম হয়। প্রাচীন মিশরে দাসপ্রথা জ্ঞাত ছিল, কিন্তু তার বিস্তার এবং ব্যাপকতা অজানা। প্রাচীন মিশরে নারীদের সমান অধিকার ছিল সবখানে।
মিশরীয় সভ্যতার অর্থনৈতিক অবস্থা : প্রাচীন মিশরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গম, যব, তুলা, পিচ, স্বর্ণ, রৌপ্য, মাছ, পশুসম্পদ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসবের আমদানিই ছিল অর্থনীতির মূল নির্ভরশীলতা। মিশরের ফসলগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সমৃদ্ধশীল ছিলো। এছাড়া প্রশাসক, ব্যবসায়ী, কারিগর, বিভিন্ন কারুকাজ খচিত মন্দিরও অর্থনীতির সাথে যুক্ত ছিল।
সিন্ধু সভ্যতা
সিন্ধু সভ্যতার ছবি |
সিন্ধু সভ্যতার সামাজিক অবস্থা : সিন্ধু সভ্যতা ছিল আধুনিক নগর সভ্যতার উৎপত্তি স্থল। এ সভ্যতাই বড় বড় দালান, গোসলখানা, ড্রেন, রাস্তাঘাট ইত্যাদি ছিল সুপরিকল্পিত। এই সভ্যতার মানুষরা উন্নতমানের জীবনযাপন করতো। এখনকার মানুষেরা গম, বার্লি, দামি ফলমূল ও শাকসবজি শুকরের মাংস, কচ্ছপ, হাঁস প্রভৃতির দুধ ও মাংস ছিল অন্যতম খাদ্য। এ সভ্যতায় প্রাপ্ত মূর্তি থেকে তাদের আধুনিক ও উন্নতমানের পোশাক পরিচ্ছদের ধারণা পাওয়া যায়। নারী পুরুষের কোন তফাত ছিল না তখন। সে সভ্যতায় মাটির পাত্র, তামার পাত্র, চিনামাটির পাত্র ইত্যাদি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতো। ঘর বাড়ি সাজাতো বিভিন্ন আলোকসজ্জা, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি দিয়ে। মূর্তি পূজা ছিল উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক অবস্থা : এ সভ্যতার অর্থনীতি ছিল কৃষি নির্ভর। ব্যবসা-বাণিজ্য যুক্ত হয়ে এ সভ্যতার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে। পশু পালন ছিল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, কালিবঙ্গাল, লোথাল ইত্যাদি শহর উন্নতমানের ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, নগর, দুর্গ, স্নানাগার এবং সর্বোপরি জল নিকাশ ব্যবস্থা প্রমাণ করে সে যুগে অসাধারণ দক্ষ শিল্প ছিল-যারা নির্মাণ শিল্পের সাথে যুক্ত ছিল।
আরো দেখুন :
৭ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৬ষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা সমাধান :