অনুচ্ছেদ : সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি

সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি


ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য যুথোপোগী ও বাস্তবসম্মত শিক্ষা পদ্ধতি অপরিহার্য। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে, যে শিক্ষা পদ্ধতি মূলত প্রয়োগ নির্ভর। এ পদ্ধতিতে পাঠ্য বইয়ের অনুশীলনীর প্রশ্নের পরিবর্তে সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রেখে ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োগ দক্ষতাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন স্তর অনুসারে যেমন - জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা এই চারটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি মূলত পাঠ্য বইয়ের যেকোনো বিষয়ের শিখনফলকে ভিত্তি করে যেকোনো ধরনের উদ্দীপক এবং জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা ভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন করা। তাই একজন শিক্ষার্থী যদি সত্যিকার অর্থে পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালোভাবে আয়ত্ত করে থাক্ব তাহলে যেকোনো উদ্দীপক এবং প্রশ্নপত্র দেওয়া হোক না কেন, পরীক্ষার সে সমৃদ্ধ উত্তর সহজেই লিখতে পারবে। এ পদ্ধতির ফলে শিক্ষার্থীদের শুধু মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করতে হবে না। সৃজনশীল প্রশ্ন ও দক্ষতাভিত্তিক ববহুনির্বাচনি প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করার কষ্ট দূর করবে এবং তাদের সৃজনশীলতাক্র উদ্বুদ্ধ করবে। এছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটির জন্য শিক্ষার্থীরা যেসব বৈষম্যের শিকার হতো, তাও বহুলাংশে দূর হবে। তাই বলা যাত দেশের উন্নয়নের জন্য এমন শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো মন্দের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিজের ও দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে পারবে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post