শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব মানবের সভ্য হওয়ার মহোত্তম সোপান। শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না হতে হবে মনুষ্যত্বময়। শিক্ষা মানুষকে তার জ্ঞানের পরিধি জানার জগৎকে প্রসারিত করে। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে, সেই সাথে শেখায় মানবিক গুনাবলি অর্জনের পথও। কিন্তু শিক্ষা অর্জন করার পরেও যদি কেউ মানবিক গুণাবলী বর্জিত থেকে যায় তাহলে তার শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। তাই শুধু শিক্ষিত হলে চলবে না মানুষকে হতে হবে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন তথা মনুষ্যত্বময়। প্রকৃত শিক্ষায় মানুষকে মনুষ্যত্বময় করে তোলে। মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু অর্থ সব নয়। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি মানুষকে শিক্ষাও অর্জন করতে হবে, তবে অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষা অর্জন করলে তা হবে মূল্যহীন। শিক্ষা অর্জন করতে হবে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য। কেননা মানুষ জন্ম নিলেই মানুষ হয়ে যায় না, মানুষ হতে হয় সাধনার মাধ্যমে। শিক্ষা হলো এই সাধনার মূল পাথেয়। মানুষের এই মানুষ হওয়ার নামই মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব অর্জন করলেই একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়। শিক্ষা মানুষের জীবনকে উপভোগ করতে শিখায়, আর মানুষ জীবনকে তখনই উপভোগ করতে পারে যখন তার ভেতরে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে। ফলে শিক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্ব অর্জন করাই মানুষের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। শিক্ষাই মানুষের মূল্যবোধ তৈরি করে মানুষকে করে তোলে মনুষ্যত্বময়। তখন জাগতিক লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে মানুষ গড়ে তোলে তাই আদর্শিক জীবন। তাই মানুষের জীবনে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব অপরিসীম।