ফ্লাইওভার
সভ্যতার বিকাশে মানুষ প্রতিনিয়ত আবিষ্কার, জ্ঞান বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি আধুনিক, যথোপযোগী ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্লাইওভার বা উড়ালসেতুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে মানুষ। একটি আর্দশ শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য যানজট মুক্ত রাস্তাঘাট। কিন্তু শহরে ক্রমবর্ধমান মানুষের বৃদ্ধি ও পরিবহনের আধ্যিকের কারণে তৈরি হয়েছে যানজট। আর এই যানজট প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয় ফ্লাইওভার। শহরের মূল রাস্তার উপর ব্রিজের মতো দীর্ঘ পথকে ফ্লাইওভার বলে। ফ্লাইওভার মূলত প্রদান সড়ক থেকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে ওঠে কিছুদূর অনুভূমিকভাবে যেয়ে আবার ধীরে ধীরে মূল রাস্তার সাথে মিলে যায়। ফ্লাইওভারের নিচে পাশাপাশি দুটি করে নির্দিষ্ট ব্যবধানে অসংখ্য পিলার থাকে। ফ্লাইওভারের সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে যানবাহনকে কোনো রেল ক্রসিং বা কোনো ট্রাফিক সিগনালের সম্মুখীন হতে হয় না। ফ্লাইওভার সাধারণত ব্যস্ততম শহরব দেখা যায়। এর উপর দিয়ে যানবাহন চলার কারণে নিচে মূল রাস্তায় যানবাহনের চাপ অনেক কমে যায়। অনেক দেরি করে হলেও বাংলাদেশে ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে এবং আরো ফ্লাইওভার নির্মান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাইওভারটি বনানী মহাখালীতে অবস্থিত। আমাদের দেশের ফ্লাইওভারগুলো পরিকল্পিতভাবে তৈরি না হওয়ায় যানজট আরো বেড়েছে। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারের আরো পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।