কাজী ইমদাদুল হক
কাজী ইমদাদুল হক কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর, খুলনায়।
তিনি কবে, কোথায় তাঁর পেশাজীবন শুরু করেন? — ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের 'ঢাকা মাদ্রাসা'র হিসেবে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লিখ?
- উপন্যাস : আবদুল্লাহ্ (১৯৩৩)।
- কাব্য : আঁখিজল, লতিকা।
- প্রবন্ধ : প্রবন্ধমালা।
- শিশুতোষ গ্রন্থ : নবীকাহিনী।
তিনি কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন? — 'শিক্ষক' পত্রিকার (১৯২০)।
'আবদুল্লাহ্' উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়? — 'মোসলেম ভারত'।
'আবদুল্লাহ্' উপন্যাসের পরিচয় দাও।
— লেখকের এই বিখ্যাত উপন্যাসটি ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত হয়। লেখকের মৃত্যু হলে অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদির ইমদাদুল হকের খসড়া অবলম্বনে অসমাপ্ত উপন্যাসটির ১১ টি পরিচ্ছেদ রচনা করেন। উপন্যাসটিতে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা, আশরাফ আতরাফ বৈষম্য, হীন স্বার্থপরতা, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ। বইটা সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন— “আবদুল্লাহ্ বইটি পড়ে আমি খুশি হয়েছি বিশেষ কারণে, এই বই থেকে মুসলমানের ঘরের কথা জানা গেল।” রবীন্দ্রনাথ লেখকের উদার প্রকাশভঙ্গিরও প্রশংসা করেন। শিল্পের বিচারে 'আবদুল্লাহ্' উৎকৃষ্ট মানের উপন্যাস নয়। তবে বাঙালিদের সমাজ পরিবর্তন, বির্বতন ও মুসলমানদের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা এবং প্রতিবন্ধকতা সুচারুভাবে ফুটে ওঠেছে। কাহিনীর নায়কের নামেই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে।
তিনি উপন্যাসের অন্যতম স্থপতি ছিলেন? — বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি।
তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে মার্চ, কলকাতা শহরে।