ভ্রাম্যমাণ আদালত
বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থার অন্যতম যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার কারণে আমাদের দেশের আদালত সমূহে প্রচুর পরিমাণে মামলা মোকদ্দমা দীর্ঘ সময় ধরে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পড়ে থাকে। দীর্ঘসূত্রতা ও বিচার ব্যবস্থার জটিলতার কারণে অনেক সময় অপরাধী ব্যক্তিকে সঠিক সময়ে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া সম্ভব হয় না। আর তাই সৃষ্টি হয়েছে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থার। সহজ কথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হচ্ছে সেই আদালত যা ভ্রাম্যমাণ। বিচারক যানবাহনের মাধ্যমে অপরাধী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে, অপরাধ শনাক্ত করে, আইনের ধারা অনুসারে তাঁর শাস্তি এ ব্যবস্থায় নির্ধারন করে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করেন। অর্থাৎ পুরো বিচার প্রক্রিয়া ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় সম্পন্ন হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বপ্রথম কার্য শুরু করে রাজশাহীর হরিয়ানায় মেওয়াতে। মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের রয়েছে নিজস্ব বিধিমালা যার উপর ভিত্তি করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পাদান করেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। ভ্রাম্যমাণ আইন সংক্রান্ত আইন প্রণীত হয় ২০০৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। ভ্রাম্যমাণ আদালত অপরাধী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দিতে পারেন, তবে এই বিচার ব্যবস্থায় অর্থ জরিমানার বিধানও রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভেজালবিরোধী অভিযান। তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীর শাস্তি বিধান করা হয় বলে এই আদালত অনেক বেশি কার্যকর ও এর বিচার ব্যবস্থা অধিক ফলপ্রসূ, যা জনজীবনে এনেছে স্বস্তির বারতা।