অনুচ্ছেদ : ট্রেনে একদিন

ট্রেনে একদিন


আধুনিক সভ্যতায় দ্রুত যাতায়াত ও মালপত্র বহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো ট্রেন। ট্রেন ভ্রমণ যেমন ঝক্কিবিহীন ও আরামদায়কও বটে তেমনি আনন্দদায়ক। আমি প্রথম ট্রেন ভ্রমণ করি ঢাকা থেকে সিলেট রুটে। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। বাবা-মার সাথে বেড়াতে গেলাম সিলেট। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষন আগে আমরা স্টেশন গিয়ে পৌঁছাই এবং ট্রেম ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা ট্রেনে উঠে আমাদের নির্দিষ্ট আসনে বসি। সকাল ৯টায় ট্রেন ছাড়ার সংকেত দেওয়ার সাথে সাথে আমাদের ট্রেনটি চলতে শুরু করে। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের বিরক্তিকর ভিড় নেই এবং বেশ খোলামেলা। মনেই হয় না কোনো পরিবহনে যাচ্ছি। তেমন কোন ঝাঁকুনি নেই। কেবল ঝিকঝিক শব্দ করে ছুটে চলছে। ট্রেনের এক কামড়া থেকে অন্য কামড়ায় সহজে যাতায়াত করা যায়। আমার আসন ছিল জানালার পাশে। আমি বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। ট্রেনে খাবার ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া হকাররা নানারকম খাবার পণ্য বিক্রি করছে। কোনো স্টেশনে ট্রেন থামলে কোলাহল শুরু হয়ে যায়। কেউ নেমে যায় আবার নতুন যাত্রী উঠে। এভাবেই ট্রেন চলতে থাকে। বেলা এগোরাটায় আমরা পৌছালাম আখাউড়া জংশনে। এখানে ট্রেনে ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয় এবং সেখানে থেকেই সিলেটের পথে ট্রেনটি চলতে শুরু করে। বিকাল ৪টায় আমরা সিলেট পৌঁছালাম। ট্রেনটি আস্তে আস্তে স্টেশনে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কুলিদের হাকডাক শুনতে পেলাম। ট্রেন ভ্রমন সত্যিই আনন্দদায়ক। ট্রেন ভ্রমনের এ স্মৃতি আমি কখনো ভূলতে পারবো না।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post