গ্রীষ্মের দুপুর
বাংলাদেশ প্রকৃতির এক আদুরে কন্যা। ছয়টি ঋতুতেই এদেশের প্রকৃতি ভিন্ন রূপমাধুর্য্য নিয়ে বিরাজ করে। শীর্ণ-শুষক গ্রীষ্মের আগমনে বাংলাদেশের ঋতুপ্রবাহের শুরু। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসের সূর্যতাপের প্রাখর্যে তার আত্মপ্রকাশ। আর এই দারুন বহ্নিদাহন পূর্নতা লাভ কর গ্রীষ্মের দুপুরে। গ্রীষ্মের দুপুরে চারিদিক নিস্তব্ধ নিঝুম। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরে। নিজের উষ্ণতায় সূর্যের কিরণ পর্যন্ত যেন জ্বলে পুড়ে অস্থির অধীর হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে ক্ষুদ্রাকৃতি ঘূর্ণি হাওয়া উঠে ঝরে-পড়া গাছের পাতা নিয়ে খেলায় মাতে। গ্রীষ্মের দুপুরে সুনীল আকাশের গা বেয়ে দু-এক খন্ড সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। তারই ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্ত চিল পাতার মত উড়ে বেড়ায়। সেই সময় গাছের ঘন পত্রান্তরাল থেকে ক্লান্ত পাখির পিপাসাকাতর সুর মনকে উদাস করে গ্রীষ্মের দুপুরে রৌদ্রের প্রাবল্যে পথে জনপ্রানীর চলাচল থাকে না বললেই চলে। আবার কখনো গ্রীষ্মের দুপুর পায় ভিন্নমাত্রা কালবৈশাখীর দূরন্ত বেগে। রুক্ষতা ও শীর্ণতাকে ধারণ করলেও গ্রীষ্মের দুপুর বিচিত্রধর্মী সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যে আমাদেরকে আলোড়িত করে, যা অতুলনীয়। গ্রীষ্মকাল ফলের ঋতু। আম,জাম কাঁঠালসহ নানা রসালো ফল গ্রীষ্মের দুপুরকে প্রাণবন্ত করে তোলে।