উয়ারী বটেশ্বর
ঢাকা থেকে ৭৩ কিলোমিটার পূর্বে ননরসিংদীর বেলাবো ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত এক প্রত্মতাত্ত্বিক স্থান উয়ারী বটেশ্বর। বাংলাদেশের অন্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো থেকে এটি ব্যাতিক্রমধর্মী। উয়ারী বটেশ্বর মূলত মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া এক নগর-জনপদ, যা ১৯৩৩ সালে মাটি খননের সময় আবিষ্কৃত হয়। উয়ারী বটেশ্বর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এই এলাকার মাটির নিচকে একটি নগরী হিসেবে ধরা যেতে পারে। ১৯৫৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত উয়ারী বটেশ্বরের মাটি খনন করে পাওয়া গেছে আড়াই হাজার বছর আগের প্রাচীন দূর্গ-নগর, ইটের স্থাপাত্য, রাস্তাগলি, পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান পাথর, পাথরের বাটখারা, কাঁঠের পুতি, মুদ্রাভান্ডার ইত্যাদি। এখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখে বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো এই অঞ্চলের মানুষের জীবন যথেষ্ট উন্নত ছিল। এটি প্রাচীনকালে সমৃদ্ধশীন আর সঠিকভাবে পরিকল্পিত উপায়ে গড়া সোনাগড়া সভ্যতা নামে পরিচিত ছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের সুদূর রোমান সাম্রাজ্য পর্যন্ত উয়ারী বটেশ্বর রাজ্যের যোগাযোগ ছিল বলে ধারণা করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান উয়ারী বটেশ্বর আবিষ্কারের সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তবে এখনও চেষ্টা চালিয়ে আশ্চর্য সব নিদর্শন আবিষ্কার করা হচ্ছে সুসভ্য মানুষের এই নগর সভ্যতা উয়ারী বটেশ্বর থেকে।
Nic
ReplyDelete😇😇😇😇😇
Delete