তোমার বিদ্যালয়ে উদ্যাপিত একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে
একটি পত্র।
নবাবপাড়া, কুমিল্লা
২২শে ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রিয় নাদিয়া,
পত্রের প্রথমেই রইল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশাকরি ভালো আছ। আমরা ভালো। গতকাল তোমার
চিঠি পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে।
তুমি লিখেছ বিদ্যালয়ে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন কেমন হয়েছে তা যেন জানাই
প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মিলে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন ককর্মসূচি পালন
করেছি। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের মহান
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ, 'জাতীয় জীবনে একুশের
গুরুত্ব' বিষয়ক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- এ গানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
প্রভাতফেরি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা মূল
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রবীন্দ্র গবেষক, সমালোচক
অধ্যাপক তিতাস চৌধুরী। তিনি তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন - পৃথিবীতে ভাষার জন্যে
যুদ্ধ কিংবা জীবনদান বাংলা ব্যতীত অন্য কোনো দেশে কিংবা ভাষার ক্ষেত্রে ঘটে নি।
ভাষার পরিচয়ে জাতির পরিচয় একমাত্র বাঙালির। অর্থাৎ বাঙালির জাতিগত পরিচয় বাংলা
ভাষাকে কেন্দ্র করে। এ বিষয়ে আলোচবা করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন - একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের প্রেরণা, জাতীয় জীবনে
একুশের মর্যাদাকে সবার ওপরে স্থান দিতে হবে। আলোচনাসভায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য
সিনিয়র শিক্ষকগণ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। সবশেষে 'অমর একুশে' শিরোনামের
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
তোমার মঙ্গলময় জীবন কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
ইতি
প্রীতিধন্য
ইভানা