তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে একখানা পত্র
লেখো।
মগবাজার, ঢাকা
৩রা মার্চ, ২০১৫
প্রিয় রাহুল,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে। গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। আজ খুব
আনন্দময় একটি সংবাদ জানাতে তোমার কাছে লিখছি।
কদিন আগে আমাদের বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়ে গেল। তুমি শুনে খুব খুশি
হবে যে, এবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমি ৩টি ইভেন্টে প্রথম স্থান অধিকার
করে 'ক' গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছি। এবারের অনুষ্ঠান ছিল
বৈচিত্র্যময়। বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ সুন্দরভাবে সাজানো হয়।
জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। শহরের গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক সকাল ৯টায় বার্ষিক
ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময়ে তিনি নিজ হাতে লাল ফিতা কাটেন, সঙ্গে
পায়রা এবং গ্যাসভর্তি লাল-নীল বেলুন উড়িয়ে দেন নীল আকাশে। সমবেত দর্শকবৃন্দ
হাততালি দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণাকে স্বাগত জানালেন।
বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে তাকে দুই পর্বে বিভক্ত করা হয়। ৬ষ্ট থেকে ৮ম
শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের 'ক' গ্রপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 'খ' গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত
করা হয় নবম ও দশম শ্রেণির বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের। 'ক' গ্রুপের ছেলেদের জন্যে ছিল
১০০মিটার, ২০০মিটার, দৌড়; চাকতি নিক্ষেপ, ১১০মিটার হার্ডলস, বর্শা নিক্ষেপ,
হাইজাম্প, লংজাম্প, ডিসকাস থ্রো ইত্যাদি। আমি 'ক' গ্রুপে ১০০মিটার, ২০০ মিটার দৌড়
এবং লংজাম্পে ১ম স্থান অধিকার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
দিনব্যাপী ক্রীড়ানুষ্টান চলার পর বিকেল ৫টায় পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। প্রধান
অতিথি, বিশেষ অতিথি ও আমাদের শিক্ষকবৃন্দ ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মূল্যবাদ
বক্তব্য রাখেন। অতঃপর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আমাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর তোমার কেমন লাগল তা জানিয়ে
অবশ্যই চিঠি লিখবে। তোমার আব্বা আম্মাকে আমার সালাম এবং ছোটদের স্নেহ দিও।
ইতি
তোমার প্রীতিধন্য
অমিত
🙂 *only my reaction*
ReplyDelete