৬ষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় : ১০ম সপ্তাহ : ২০২১

৬ষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় : ১০ সপ্তাহ

অ্যাসাইনমেন্ট : বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত কর এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈশাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

নমুনা সমাধান

২১ শে জুলাই, ২০১৮
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
বাগমনিরাম বালক উচ্চ বিদ্যালয় 
দামপাড়া, চট্টগ্রাম। 

বিষয়: বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রস্তুত।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ নং যাহার স্মারক বা.বা.উ.বি ০৯/২০২১ অনুসারে "সাংস্কৃতিক" শিরোনামে প্রতিবেদন পেশ করছি।

বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য

বাংলাদেশের কয়েকটি নগর সভ্যতা, সভ্যতার অবস্থান, প্রাপ্ত নির্দশন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের তালিকার ছক নিচে উপস্থাপন করা হলো :

সভ্যতার নাম সভ্যতার অবস্থান প্রাপ্ত নিদর্শন বাণিজ্যিক গুরুত্ব বৈশিষ্ট্য
উয়ারী বটেশ্বর নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার দুইটি গ্রামের বর্তমান নাম উয়ারী বটেশ্বর। প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত উয়ারী বটেশ্বর নামে দুটি গ্রাম আড়াই হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল। - ধাতব অলংকার
- মূল্যবান পাথর ও কাঁচের পাথর।
- চুন-সুরকির রাস্তা ইট নির্মিত স্থাপত্য
- দুর্গ
- রোলেটেড মৃৎপত্র : স্যান্ডউইচ কাঁচের পুঁতি।
উয়ারী বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর। ছাপাঙ্কিত রৌপ্য-মুদ্রা এবং নয়না-ভিরাম বাটখারা বাণিজ্যের পরিচায়ক নবযুক্ত হাইটিন ব্রোজয় নির্মিত পাত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কথা বলা হয়। উয়ারী বটেশ্বর মাটির নিচ থেকে প্রাপ্ত নগর সভ্যতা। শিক্ষক হানিফ পাঠান এ সকল উপাদান সংগ্রহ করে। বিশেষ করে অমূল্য প্রত্নবস্তু, ধাতব অলংকার, কাঁচের পুঁথি, মুদ্রা, দুর্গ ইত্যাদি ছিল ভরপুর।
মহাস্থান গড় (পুন্ড্রনগর) ২৪০০ বছর আগে বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে গড়ে উঠে মহাস্থানগড়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন। - নগরের রাস্তাঘাট
- ঘরবাড়ি
- অলংকার
- মুদ্রা
- পোড়ামাটির শিল্পকর্ম
- বাক্ষ্মী লিপি
- ২০টি বৌদ্ধ-বিহার
- দুর্গনগর সংলগ্ন গোবিন্দ ভিটা
- গোকুল মেধে দুটি মন্দির
- ভাস্কর্য
- ভাসু বিহার
এটি ছিল একটি সমৃদ্ধ নগর। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী শহর, ভারত উপমহাদেশের অনেক নগর বন্দরের যোগাযোগ ছিল এখানে। ফলে বহু বাণিজ্যিক ও সংস্কৃতির লেনদেন ঘটে। এটি ছিল দ্বিতীয় নগর সভ্যতা, বাংলাদেশের অতিপ্রাচীন সভ্যতা এটি। এর জমি ছিল উর্বর। ছিল ঘনবসতি পূর্ণ। এখানে মৌর্য শাসক সম্রাট অশোক, গুপ্ত, পাল, সেন সম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া যায়।

বর্তমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকের সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিম্নে দেয়া হলো:

বর্তমানে যে জীবনব্যবস্থা দেখা যায় তা হঠাৎ করে হয়নি। এর ভীত গড়া হয়েছে হাজারো বছর পূর্বে। কালে কালে এর পরিবর্তন ঘটেছে। তবে কিছু প্রাচীন নিদর্শন এখনো অক্ষুন্ন আছে। যা যত্ন সহকারে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের দেশে যে সকল সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয় তার যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন কাল থেকে। বর্তমানে আমাদের দেশে মুসলিম ধর্মের মানুষ অধিক। কিন্তু প্রাচীন যুগে ইসলাম ধর্মের প্রচলন ছিল না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছিল অধিক রীতি নীতি, যার প্রভাব অনেকটা রয়ে গেছে এখন। তাছাড়া বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মেরও রীতিনীতি পরিলক্ষিত হয়। 

প্রাচীন বাংলা ছিল কৃষি নির্ভর। তাছারা গুড় ও চিনি রপ্তানি করেও প্রচুরভাবে বাণ্যিজিক প্রসার ঘটে। বর্তমানে সেসব ফসলের পাশাপাশি আরো অনেক ফসল যেমন-পাঠ, আখ, চা ইত্যাদি রপ্তানি হচ্ছে। 
প্রাচীন সভ্যতায় মসলিন কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। দেশ বিদেশে এর ব্যাপ রপ্তানি হতো। বর্তমানে এর চাহিদার সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। তাছাড়া বাদ্যযন্ত্র, ইলেকট্রনিক জিনিসের তখন তেমন চাহিদা ছিল না কিন্তু বর্তমানের সাংস্কৃতিকে এর ব্যবহার বিপুল।


আরো দেখুন :
১০ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৬ষ্ঠ শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়


1 تعليقات

إرسال تعليق
أحدث أقدم