৬ষ্ঠ শ্রেণি : শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য : ১০ম সপ্তাহ
অ্যাসাইনমেন্ট : আমার দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলনকৃত ব্যায়াম এবং তার উপকারিতা।
নির্দেশনা :
- ভূমিকা
- ব্যায়াম কি?
- ব্যায়ামের সাথে জীবনের সম্পর্ক
- তোমার অনুশীলনকৃত ব্যায়ামের তালিকা ও প্রকার
- উপকারিতা
- সিদ্ধান্ত
নমুনা সমাধান
আমার দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলনকৃত ব্যায়াম এবং তার উপকারিতা
ভূমিকা : সুস্থ দেহেই সুস্থ মনের বসবাস। দেহে সুস্থ থাকলেই মন সুস্থ থাকে। একটি উন্নত ও সুস্থ জাতির লক্ষ্যে একটি সুস্থ দেহ ও মন প্রয়োজন, তবে উন্নতি আসবে। সুস্থ দেহ ও মন মানুষকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়। যার জন্য শারীরিক সুস্থতা অনিবার্য। যার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ব্যায়াম। শরীরচর্চা তথা ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহের কাঠামো সুন্দরভাবে গঠিত হয়। দেহের সুগঠনের সাথে সাথে আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে। এই ব্যায়াম বা শরীরচর্চার মাধ্যমে আমাদের চিত্ত বিনোদন যেমন হয়, তেমনি আমাদের মধ্যে শৃংখলাবোধ, নেতৃত্ব ও সহযোগিতার মনোভাবও গড়ে ওঠে।
ব্যায়াম কি? : দেহ ও মনের সুস্থতা ও আনন্দ লাভের জন্য শারীরিক অঙ্গসঞ্চালনকে ব্যায়াম বলে। খেলাধূলা ও ব্যায়ামের অন্তর্ভুক্ত। খেলাধূলার মাধ্যমে অঙ্গসঞ্চালন হয় ও আনন্দ লাভ করা যায়। বিভিন্ন চিত্তবিনোদবমূলক খেলার মাধ্যমেও অঙ্গসঞ্চালন বা ব্যায়াম করা যায়।
ব্যায়াম সাধারণত দুই প্রকার-
১. সাধারণ ব্যায়াম
২. নির্দিষ্ট ব্যায়াম।
ব্যায়ামের সাথে জীবনের সম্পর্ক : শরীর গরম করার জন্য যে ব্যায়াম করা হয় তাকে সাধারণ ব্যায়াম বলে। যেমন- পুশ আপ, চিন আপ, মেডিসিন বল নিক্ষেপ, বডি বেল্ডিং, এলবো ব্যালেন্স ইত্যাদি।
কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা সকল অঙ্গের উন্নতির জন্য এ ব্যায়াম করা হয় তাকে নির্দিষ্ট ব্যায়াম বলা হয়। যেমন- দৌড়, জাম্প, লং জাম্প, স্টপ জাম্প ইত্যাদি।
ব্যায়ামের উপকারিতা:
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উন্নতি : ব্যায়াম দেহে কাঠামোর সুষম উন্নতি ও বৃদ্ধি সাধন করে। দেহের উন্নতির সাথে সাথে মনকে সতেজ করে। ফলে শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ে। ব্যায়ামের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পাঠের একঘেয়েমি দূর করে : শ্রেণিকক্ষে একটানা লেখাপড়া করলে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি আসে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে পাঠের একঘেয়েমি ও মানসিক ক্লান্তি দূর হয়, মনে সজীবতা আসে ও পড়াশুনায় মন বসে।
স্নায়ু ও মাংসপেশির সমন্বিত উন্নয়ন : শৈশব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্রুত বেড়ে ওঠে। শরীর বৃদ্ধি পেলেও অনেক সময় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিকাশ হয়না। এর সমন্বয় ঘটানোর জন্য সঠিক নিয়মে অঙ্গসঞ্চালন প্রয়োজন। হাত, পা ও শরীরের ব্যায়াম একসাথে করতে হবে। শুধু হাতের ব্যায়াম করলে হাতের শক্তি বাড়বে আবার পায়ের ব্যায়াম করলে পায়ের মাংসপেশি বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যায়ামের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে অনুশীলন করতে হবে।
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন : নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে শৃংখলাবোধ ও নেতৃত্বের গুনাবল গড়ে উঠবে। ফলে শিক্ষার্থী প্রাত্যহিক জীবনে সুশৃঙ্খল জীবনযাপবে অভ্যস্থ হবে।
সামাজিক গুণাবলি অর্জন : দলগত খেলাধূলা আর ব্যায়াম করলে শিক্ষক বা দলনেতার আদেশ মেনে শৃঙ্খলার সাথে খেলতে হয়। খেলায় হেরে গেলেপ মেজাজ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করতে হয়। আদেশ মেনে চলা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মেজাজ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা, সহযোগিতা করা- এই সামাজিল গুণগুলো ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।
আরো দেখুন :
১০ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৬ষ্ঠ শ্রেণি : শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
Nice
ReplyDelete