৮ম শ্রেণি : শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য : ১০ম সপ্তাহ : ২০২১

৮ম শ্রেণি : শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য : ১০ম সপ্তাহ

অ্যাসাইনমেন্ট : ‘সুস্থ দেহে সুন্দরমন’ -এই প্রবাদটির আলোকে তোমার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দৈনিক কার্যক্রমের একটি ধারাবাহিক তালিকা তৈরি কর। (সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত)

নমুনা সমাধান

শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহনই হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম ছাড়া একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতা আশা করা যায় না।

সুখি সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সুস্থতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকেনা। “সুস্থ দেহে সুন্দর মন” এটি একটি প্রবাদ বাক্য যা সর্বকালে সত্য বলে প্রমানিত। সুস্থতায় সুন্দর, সুন্দরই জীবন তাই দেহ মনে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য সুস্থ দেহে সুন্দর মন অত্যাবশক। মন ছাড়া দেহ এককভাবে চলতে পারেনা। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনেরও উন্নতি সাধন করে। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ব্যতিরেকে আরেকটির কল্পনা করা যায় না। দেহ ভাল না থাকলে মন খিটখিটে থাকে। সবকিছুতেই যেন অনিহা। সুস্থ দেহে সুন্দর মন। শরীর হচ্ছে মনের আধার। তাই শারীরিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে মানসিক সুস্থতা। শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশে ভূমিকা পালন করে। মানসিক সুস্থতার জন্য শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজন। শরীর ভালো না থাকলে মন ও ভালো থাকে না। কোন কিছুতেই মন বসেনা এক কাজে মনকে স্থির করা যায় না। আর শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহন হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম ছাড়া একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতা আশা করা যায় না। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনের উন্নতি সাধন করে কারণ মন ছাড়া দেহ একক ভাবে চলতে পারে না।

পরিশেষে আমরা বলি, “ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, সুস্থ দেহে সুন্দর মন।” 

নিম্নে আমার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বৈশিষ্ট্যের কার্যক্রমের একটি ধারাবাহিক তালিকা তৈরি করা হলো: 

সকাল : আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি। আব্বু আম্মু সব সময় বলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে, যেন একটু হাটতে বের হয়। আমিও ঠিক তাই করি। ব্যায়াম করলে শারীরিক সুস্থতা ঠিক থাকে। তাই প্রতিদিন সকাল বাসার পাশে পার্কে গিয়ে কিছু ব্যায়াম করি। কিছু সরঞ্জামবিহীন স্পিড এক্সারাইজ এবং এবডোমিনাল, কিছু সরঞ্জামসহ ক্লাইম্বিং রোপ এবং বল পাসিং পদ্ধতিতে করে থাকি। 

স্পিড এক্সারাইজ হলো এক প্রকার দৌড়ানো। প্রথমে ধীরে ধীরে দৌড়ে শরীর গরম করা হয়। তারপর ২৫ মিটার পর্যন্ত দাগ টেনে সে দাগ থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকবার দৌড়ে একের পর এক ব্যায়াম করা হলো স্পিড এক্সারাইজ।

স্পিড এক্সারসাইজের পাশাপাশি এডোমিনাল এক্সারাইজন করে থাকি। যা মূলত তলপেটের ব্যায়াম। এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। সিট আপ, হাটু ভেঙ্গে সট আপ ইত্যাদি পদ্ধতি এই ব্যায়াম করা হয়ে থাকে। 

ক্লাইম্বিং রোপ সাধারণত দড়ি বেয়ে উপরে উঠার ব্যায়াম। এ ক্ষেত্রে রশি খুব বেশি বা মোটা না নিয়ে মাঝারি টাইপের রশি ব্যবহার করে থাকি এবং গাছ বা রেলিং এর সাথে ঝুলিয়ে ক্লাইম্বিং করি।

তাছাড়া বল পাসিং দিয়েও মাঝে মাঝে ব্যায়াম সম্পন্ন করি। তারপর বাসায় এসে গোসল করে সকালের নাস্তা করি।

দুপুর : দুপুরে তেমন কোনো ব্যায়াম আমি করি না। দুপুরে খেয়ে বিশ্রাম করি কিছুক্ষন। খাওয়ার পর পর ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই খাওয়ার পর ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকা কল্যাণকর।

সন্ধ্যা : এই সময়ে সাধারণর ফ্রি হ্যান্ডং এক্সারাইজ করে থাকি। এতে কোন সরঞ্জামের ব্যবহার প্রয়োজন হয় না। মাটিতেই করা যায়। এর মধ্যে হ্যান্ড স্ট্যান্ড এর হেড স্ট্যান্ড অন্যতম। হ্যান্ড স্ট্যান্ড মূলত হাতের তালুতে ভর করে দাঁড়ানো হয় এবং হেড স্ট্যান্ড হলো মাথার উপর ভর করে দাঁড়ানো। এ পদ্ধতিতে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে থাকি।

রাত : রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায়। কারণ প্রতিটি মানুষের দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। তা নাহলে শরীর আর মন দুটোই অবসাদ আর ক্লান্ত বোধ করে। ব্যায়ামের পাশাপাশি বিশ্রাম আর বিনোদনের উভয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণের খাওয়া দাওয়া, বিশ্রাম করা, শরীরচর্চা সবই করে থাকি। তাই শরীর আর মন উভয়ের প্রতি মানুষের যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।


আরো দেখুন :
১০ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
৮ম শ্রেণি : শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post