অধ্যায় ৩
পদার্থের গঠন
অ্যাসাইনমেন্ট : প্রতীকের পাশে উল্লেখিত ভরসংখ্যাবিশিষ্ট মৌলের নিউট্রন সংখ্যা,
বোর মডেল অনুসারে পরমাণুর গঠনের চিত্র, শক্তস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস এবং
উপশক্তিস্তরে (অরবিটালসমূহে) ইলেকট্রন বিন্যাস সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন।
Na(11), ভরসংখ্যা -23
P(15), ভরসংখ্যা -31
K(19), ভরসংখ্যা -40
Cu(29), ভরসংখ্যা -63
নমুনা সমাধান
(ক)
নিউট্রন সংখ্যা হিসাব :$Na$ মৌলের নিউট্রন সংখ্যা $= 23-11=12$
$P$ মৌলের নিউট্রন সংখ্যা $= 31-15=16$
$K$ মৌলের নিউট্রন সংখ্যা $= 40-19=21$
$Cu$ মৌলের নিউট্রন সংখ্যা $= 63-29=34$
(খ)
বোর মডেল অনুসারে পরমানুর গঠনের চিত্র অঙ্কন :
$Na$ এর ইলেকট্রন বিন্যাস-
$Na(11)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3s^1$
$P(15)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3p^3$
$K(19)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3p^6$ $3p^6$ $4s^1$
শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস
$Na(11)\rightarrow\overset2{\underset K{\boxed{1s^2}}}\;\overset8{\underset L{\boxed{2s^2}\boxed{2p^6}}}\;\overset1{\underset M{\boxed{3s^1}}}$
$P(15)\rightarrow\overset2{\underset K{\boxed{1s^2}}}\;\overset8{\underset L{\boxed{2s^2}\boxed{2p^6}}}\;\overset5{\underset M{\boxed{3s^2}\boxed{3p^3}}}$
$K(19)\rightarrow\overset2{\underset K{\boxed{1s^2}}}\;\overset8{\underset L{\boxed{2s^2}\boxed{2p^6}}}\;\overset8{\underset M{\boxed{3s^2}\boxed{3p^6}}}\;\overset1{\underset N{\boxed{4s^1}}}$
$Cu(29)\rightarrow\overset2{\underset K{\boxed{1s^2}}}\;\overset8{\underset L{\boxed{2s^2}\boxed{2p^6}}}\;\overset{18}{\underset M{\boxed{3s^2\;3p^6\;\;3d^{10}}}}\;\overset1{\underset N{\boxed{4s^1}}}$
উপশক্তিস্তরে (অরবিটাল সমূহে) ইলেকট্রন বিন্যাস -
আমরা জানি,
$n=1$ এর জন্য উপশক্তিস্তর $০$ থেকে $(n-1)$ পর্যন্ত।
তাই প্রথম শক্তিস্তরে একটি উপশক্তিস্তর বিদ্যমান $=1s$
$n =2$ হলে, উপশক্তিস্তর হল = $2s$, $2p$
$n=3$ হলে, উপশক্তি স্তর হল = $3s$, $3p$, $3d$
$n=4$ হলে, উপশক্তি স্তর হল = $4s$, $4p$, $4d$, $4f$
$s$ উপশক্তিস্তরে থাকে সর্বোচ্চ ২টি ইলেকট্রন।
$p$ উপশক্তিস্তরে থাকে সর্বোচ্চ ৬টি ইলেকট্রন।
$d$ উপশক্তিস্তরে থাকে সর্বোচ্চ ১০টি ইলেকট্রন।
$f$ উপশক্তিস্তরে থাকে সর্বোচ্চ ১৪টি ইলেকট্রন।
পরমাণুর অরবিটালের ক্রমবর্ধমান শক্তিগুলো :
$1s<2s<2p<3s<3p<4s<3d$
$Na(11)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3s^1$
$P(15)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3p^3$
$K(19)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3p^6$ $3p^6$ $4s^1$$Cu(29)$ → $1s^2$ $2s^2$ $2p^6$ $3s^2$ $3p^6$ $3d^10$ $4s^1$
অধ্যায় ০৪
পর্যায় সারণি
অ্যাসাইনমেন্ট :
Li | Be |
Na | Mg |
মৌল চারটির ইলেকট্রন বিন্যাসের আলোকে পর্যায় সারণিতে অবস্থান, তুলনামূলক আয়নিকরণ
শক্তি এবং মৌল সংশ্লিষ্ট গ্রুপ বা শ্রেণির বৈশিষ্ট্যদ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন
প্রণয়ন।
নমুনা সমাধান
(ক)
মৌলগুলাের ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, লিথিয়াম $(Li)$ এর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ইলেকট্রন দ্বিতীয় শক্তি স্তরে প্রবেশ করেছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Li(3)$ এর পর্যায় হচ্ছে $2$।
অনুরূপভাবে,
$FT$ বেরিলিয়াম $(Be)$ এর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ইলেকট্রন দ্বিতীয় শক্তি স্তরে প্রবেশ করেছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Mg(12)$ এরপর যায় হচ্ছে $3$।
(খ)
গ্রুপ বা শ্রেণি নির্ণয় :
প্রশ্নে উল্লেখিত মৌলগুলাের ইলেকট্রন বিন্যাস :
$Li\left(3\right)\rightarrow1s^2\;\boxed{2s^1}$
$Be\left(4\right)\rightarrow1s^2\;\boxed{2s^2}$
$Na\left(11\right)\rightarrow1s^2\;2s^2\;2p^6\;\boxed{3s^1}$
$Mg\left(12\right)\rightarrow1s^2\;2s^2\;2p^6\;\boxed{3s^2}$
মৌলগুলাের ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে,
লিথিয়াম $(Li)$ এর ক্ষেত্রে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে একটিমাত্র ইলেকট্রন রয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Li(3)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $1$।
অনুরূপভাবে,
বেরিলিয়াম $(Be)$ এর ক্ষেত্রে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে দুইটি ইলেকট্রন রয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Be(4)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $2$।
সােডিয়াম $(Na)$ এর ক্ষেত্রে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে একটিমাত্র ইলেকট্রন রয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Na(11)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $1$।
ম্যাগনেসিয়াম $(Mg)$ এর ক্ষেত্রে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে দুইটি ইলেকট্রন রয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি, $Mg(12)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $2$।
(গ)
তুলনামূলক আয়নীকরণ শক্তি : আমরা জানি, একই পর্যায়ে যত বাম দিক থেকে ডান দিকে যাওয়া যায়, অর্থাৎ পারমাণবিক সংখ্যা যত বাড়তে থাকে পরমাণুর আকার ততােই হ্রাস পেতে থাকে। আর পারমাণবিক আকার হ্রাস পেলে পরমাণুর আয়নীকরণ শক্তি বাড়ে। কারণ, এতে একটি করে ইলেকট্রন যুক্ত হয় এবং নিউক্লিয়াসের সাথে আকর্ষণ বেড়ে যায়।
আবার, একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে আসলে একটি করে নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়। এর ফলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেড়ে যায়। ফলে আয়নিকরণ শক্তি কমে যায়। অর্থাৎ এখানে বেরিলিয়ামের $(Be)$ আয়নীকরণ শক্তির মান সবচেয়ে বেশি।
আয়নিকরণ শক্তির ক্রম হবে নিম্নরূপ :
$Be > Li > Mg > Na$।
(ঘ)
মৌল সংশ্লিষ্ট গ্রুপ বা শ্রেণির বৈশিষ্ট্য :
প্রশ্নে উল্লেখিত মৌলগুলাের ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে,
$Li(3)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $1$।
$Be(4)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $2$।
$Na(11)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $1$।
$Mg(12)$ এর গ্রুপ হচ্ছে $2$।
অর্থাৎ লিথিয়াম $(Li)$ এবং সােডিয়াম $(Na)$ একই গ্রুপে অবস্থিত এবং তাদের গ্রুপ হচ্ছে $1$।
আবার বেরিলিয়াম $(Be)$ এবং ম্যাগনেসিয়াম $(Mg)$ একই গ্রুপে অবস্থিত এবং তাদের গ্রুপ হচ্ছে $2$.
গ্রুপ -1
(ক্ষার ধাতু)
পর্যায় সারণির ১নং গ্রুপে ৭টি মৌল আছে। এদের মধ্যে হাইড্রোজেন ছাড়া বাকি ৬ টি মৌলকে (লিথিয়াম, সােডিয়াম, পটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম এবং ফ্রানসিয়াম ) ফ্রানসিয়াম) ক্ষারধাতু বলে।
এই ছয়টি মৌলের প্রত্যেকটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে এই ছয়টি মৌলের প্রত্যেকটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার তৈরি করে বলে এদেরকে ক্ষারধাতু (Alkali Metals) বলা হয়।
এ ধাতু গুলাে খুবই সক্রিয়। এরা আয়নিক বন্ধন গঠন করে। এরা নরম ও চকচকে হয়।
গ্রুপ- 2
(মৃৎক্ষার ধাতু)
পর্যায় সারণির ২নং গ্রুপে বেরিলিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, স্ট্রনসিয়াম, বেরিয়াম এবং রেডিয়াম এই ৫ টি মৌল আছে। এই মৌলগুলােকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।
এই ধাতুগুলােকে মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায়।
আবার, এরা ক্ষার তৈরি করে। এজন্য সামগ্রিকভাবে এদের মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)।
এদের হাইড্রোক্সাইড গুলাে এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। এরা আয়নিক বন্ধন গঠন করে।
আরো দেখুন :
১ম সপ্তাহের নমুনা সমাধান :