কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য আবাসিক পরিবেশ দূষিত করছে জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী পত্র

কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থ কীভাবে তোমার আবাসিক এলাকার পরিবেশ ক্রমেই দূষিত করে তুলছে, জীবন কীভাবে বিপন্ন হয়ে উঠেছে সে অভিজ্ঞতা জানিয়ে কোনো দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদকের কাছে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচবা করো।


১০ই অক্টোবর, ২০১৮

সম্পাদক
যুগান্তর 
১২/৭ উত্তর কমলাপুর, ঢাকা।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ও প্রশংসিত দৈনিক 'যুগান্তর' পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট পত্রটি প্রকাশ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।

বিনীত
লিনুস হেনরি গণসালভেস
রামপুর আবাসিক এলাকা, নারায়ণগঞ্জ। 

দূষণমুক্ত পরিবেশ চাই

পরিবেশ দূষণ আধুনিক শিল্পায়ন ও শহরায়ণের একটি মারাত্মক কুফল। অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানা স্থাপন এবং এদের বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থ অপসারণে অব্যবস্থার ফলে ক্রমেই মানুষের আবাসস্থলসমূহ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বলতে হয়, এরূপ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্যে এক চরম অভিশাপ। আর এ অভিশাপে জর্জরিত নারায়ণগঞ্জের রামপুর অঞ্চলের অধিবাসীরা। প্রায় এক লক্ষ লোক অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রতিদিন শত-শত কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ ও বিষাক্ত গ্যাস চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। জ্বালানিকৃত ভারী ধাতু, তেল, কয়লা প্রভৃতি থেকে সৃষ্ট কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রতিনিয়ত বায়ু দূষিত করছে। ফলে সাধারণ মানুষ নানা জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মাথা ধরা, সাইনোসাইটিস, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সার প্রভৃতি বায়ু দূষণের কুফল। এছাড়া ও এখানে রয়েছে মারাত্মক শব্দ দূষণ। গাড়ির হর্ন, কল-কারখানার বিকট আওয়াজ, সাইরেন ইত্যাদি শব্দ দূষণের উপকরণ জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, মানসিক বিপর্যয়, রক্তচাপ বৃদ্ধি প্রভৃতি সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া অনিদ্রা ও অস্থিরতা তো রয়েছেই। এ অবস্থায় এখানকার আবাসিক এলাকাগুলোতে বসবাস করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা পরিবেশ দূষণের প্রকোপের প্রধান শিকারে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যথাযথ ককর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ এলাকায় দূষণমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হোক।

লিনুস হেনরি গনসালভেস
রামপুর আবাসিক এলাকা 
নারায়ণগঞ্জ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post