'হরতাল কবলিত শহর'- এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।
২০শে জুন, ২০১৯
বরাবর
জেলা প্রশাসক
বিষয় : হরতালে চাঁদপুর শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন।
সূত্র: জে.প্র.চা/২০১৯/১৭০
জনাব,
গত ১৮ই জুন, ২০১৯ বিরোধী দল চাঁদপুর শহরে হরতাল আহবান করে। আপনার আদেশ অনুসারে
হরতাল চলাকালীন শহরে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিম্নরূপ প্রতিবেদন পেশ করছি।
হরতাল কবলিত চাঁদপুর
১. সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ছয় ঘন্টা হরতাল পালিত হয়। দেশের বর্তমানে
রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রক্ষিতে প্রধান বিরোধী দল এ হরতালের ডাক দেয় এবং তার সাথে
সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল হরতালের সমর্থন জানিয়ে এতে যোগ দেয়। প্রধান
রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠনগুলো হরতাল সফল করে তোলার জন্যে পথসভা ও মশাল মিছিলের
আয়োজন করে।
২. শহরবাসী স্বাভাবিকভাবেই হরতাল মেনে নেয়। রাস্তায় রাস্তায় পিকেটারদের ব্যাপক
তৎপরতার জন্যে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে নি। তবে সাধারণ মানুষের বাহন রিকশা
পুরোপুরি চালু ছিল। শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান ও
কাঁচাবাজার যথারীতি খোলা ছিল। বিশেষত হরতালকে ছুটির মতো উপভোগ্য মনে করে
কাঁচাবাজারে বেশি ভিড় উপচে পড়েছিল
৩. শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত ছিল। শহরজুড়ে পুলিশ টহল দিয়েছে।
রাস্তার মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল। তবে কোথাও কোথাও উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের
প্রতি অহেতুক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মৃদু লাঠিচার্জ করেছে।
জোর করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করার সময় কিছু গোলযোগ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজ
করার জন্যে পুলিশ দশ জন দুষ্কৃতৃকারীকে আটক করেছে।
৪. সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কোনো উস্কানিমূলক
আচরণ না থাকায় পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটে নি। পারস্পরিক সহনশীলতার ফলে
দ্বন্দ-সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকার ফলে সামগ্রিকচাবে দেশে অর্থনীতির মারাত্নক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা: মো.আসলাম মিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চাঁদপুর
থানা, চাঁদপুর।
প্রতিবেদনের শিরোনাম: হরতাল কবলিত চাঁদপুর।
প্রতিবেদনের সময়: দুপুর ২টা।
তারিখ: ২০/০৬/২০১৯
Eto boro
ردحذف