দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট
হিসাব বিজ্ঞান (২য় পত্র)
৪র্থ সপ্তাহ
সহায়ক তথ্য :
আবুল, আবদুল ও আসাদুল একটি অংশীদারি কারবারের তিনজন অংশীদার। ২০২০ সালের ১
জানুয়ারি আবুল ৩,০০,০০০ টাকা, আবদুল ২,৫০,০০০ টাকা এবং আসাদুল ২,০০,০০০ টাকা
মূলধন স্বরূপ সরবরাহ করেন। আবদুল প্রতি মাসে ৫০০ টাকা নগদ উত্তোলন করেন এবং
আসাদুল বছরের মাঝামাঝি ২,০০০ টাকার পণ্য উত্তোলন করেন। আবুল কারবার পরিচালনা করেন
এবং এ কারণে তিনি প্রতি মাসে ২,৫০০ টাকা বেতন পাবেন। আর্থিক স্বল্পতার কারণে ১
এপ্রিল আসাদুল ১০,০০০ টাকা ঋণ প্রদান করেন এবং আবুল ১ জুন ২০,০০০ টাকা অতিরিক্ত
মূলধন সরবরাহ করেন। আংশীদারি চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলনের উপর বার্ষিক ১০% সুদ ধার্য
করতে হবে। আবুল ব্যবসায়ে তার সার্বক্ষণিক সহায়তা করার জন্য বন্টন যোগ্য লাভের উপর
কমিশন ধার্য করার পরবর্তী লাভের উপর ৫% হারে কমিশন পাবেন। আবুদলের বেতন ডেবিট
করার পর কিন্তু অন্যান্য সমন্বয় সাধন করার পূর্বে ব্যবসায়ের নিট লাভ ১,১০,০০০
টাকায় উপনীত হয়।
নির্দেশনা :
* চুক্তির অবর্তমানে অংশীদারি ব্যবসায়ের অমিমাংশিত বিষয়সমূহের নিষ্পত্তিরকরণ।
* অংশীদারদের মধ্যে লাভ-লোকসান বণ্টন হিসাব প্রস্তুত করতে হবে।
* অংশীদারদের চলতি হিসাব প্রস্তুত করতে হবে।
* অংশীদারদের মূলধন হিসাব প্রস্তুত করতে হবে (পরিবর্তনশীল মূলধন পদ্ধতি ও
স্থিতিশীল মূলধন পদ্ধতিতে)।
নমুনা সমাধান
নির্দেশনা ১ :
চুক্তির অবর্তমানে ব্যবসায়ের অমীমাংসিত বিষয় সমূহের নিষ্পত্তিকরণ:
১) ব্যবসায় পরিচালনায় এবং ব্যবস্থাপনায় অংশীদারের সমান অধিকার থাকবে।
২) ব্যবসায়ের মুনাফা অংশীদারদের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করতে হবে
৩) কোন অংশীদার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের উপর ৬% হারে সুদ ধার্য করতে
হবে
৪) অংশীদারদের মূলধন ও উত্তলনের উপর সুদ ধার্য করা যাবেনা
৫) সক্রিয় অংশীদারের পরিশ্রমের উপর কোন ধরনের পারিশ্রমিক ,বেতন বা কমিশন
দেওয়া যাবেনা।
৬) অংশীদারগণের সমাহারে মূলধন সরবরাহ করতে হবে ।
৭) সব অংশীদার ব্যবসায় থেকে সমপরিমাণ অর্থ উত্তোলনের অধিকারী।
৮) ব্যবসায় পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনায় মতানৈক্য দেখা দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ
সদস্যের সিদ্ধান্ত অনুসারে মীমাংসা করতে হবে।
৯) অংশীদারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে কোন নতুন সদস্য নেওয়া যাবে না বা
কোন অংশীদার কে বহিস্কার করা যাবেনা ।
১০) কোন অংশীদার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোনো অর্থ ব্যয় করলে বা ক্ষতিগ্রস্ত
হলে ব্যবসায়ী থেকে তাকে ওই অর্থ দিতে হবে ।
১১) ব্যবসায়ের সকল দায়-দেনার জন্য অংশীদারগণ যৌথভাবে এবং ক্ষেত্রভেদে
এককভাবে দায়ী থাকবে।
১২) কোন অংশীদারের আচরণে বা কার্যক্রমে যদি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে ঐ
অংশীদার সেই ক্ষতিপূরণ দেবে।
১৩) ব্যবসায়ের প্রধান অফিসে ব্যবসায়ের হিসাব পত্র এবং দলিলপত্রাদি সংরক্ষিত
থাকবে ।
১৪) প্রত্যেক অংশীদারের হিসাব পত্র ও দলিলপত্রাদি পরিদর্শন ও প্রতিলিপি পাওয়ার
অধিকার থাকবে।
১৫)অংশীদারদের সর্বসম্মতভাবে লাভ লোকসান বন্টন মূলধনের পরিমাণ পুনঃ নির্ধারণ
করা যাবে ।
১৬) অংশীদারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবসায়ের বিলোপসাধন এবং বিলোপ
সাধন উত্তর হিসাব নিকাশ করা যাবে।
নির্দেশনা ২ :
আবুল, আবদুল ও আসাদুল-এর
লাভ-লোকশান আবন্টন হিসাব
৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য
নির্দেশনা ৩ :
আবুল, আবদুল ও আসাদুল-এর
অংশীদারদের চলতি হিসাব
অংশীদারদের পরিবর্তনশীল মূলধন হিসাব
নির্দেশনা ৪ :
অংশীদারদের স্থায়ী মূলধন হিসাব
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | ইসলাম শিক্ষা | পদার্থবিজ্ঞান | ইতিহাস | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা | জীববিজ্ঞান | উচ্চতর গণিত | সমাজবিজ্ঞান | ভূগোল | ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন | রসায়ন | অর্থনীতি | পৌরনীতি ও সুশাসন | যুক্তিবিদ্যা | হিসাব বিজ্ঞান
প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট
হিসাব বিজ্ঞান (১ম পত্র)
১ম সপ্তাহ
হিসাবের বইসমূহের পরিচিতি
সহায়ক তথ্য :
তিস্তা বিপনি বিতানের নির্দিষ্ট খতিয়ানের ৩১ মে, ২০২১ তারিখের উদ্বৃত্তসমূহ
যথাক্রমে নগদ ৩২,০০০ টাকা, অফিস সরঞ্জাম ৩০,০০০ টাকা, প্রাপ্য হিসাব ২৫,০০০
টাকা, প্রদেয় হিসাব ১৮,০০০ টাকা। জুন, ২০২১ইং মাসে সংঘটিত ঘটনাসমূহ নিম্নে
উল্লেখ করা হলো :
জুন ২ : মালিক নগদ ১০,০০০ টাকা ও ৩০,০০০ টাকার অফিস সরঞ্জাম ব্যবসায়
বিনিয়োগ করলো।
জুন ৫ : ৪০,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করা হলো যার ৬০% নগদে।
জুন ৯ : ভাড়া পরিশোধ ৮,০০০ টাকা।
জুন ১২ : চলতি মাসের ৫ তারিখের ধারে বিক্রয়ের টাকা পাওয়া গেল এবং ৫০০
টাকা বাট্টা মঞ্জুর করা হলো।
জুন ১৭ : মালিক ব্যক্তিগত সম্পদ ১,০০,০০০ টাকায় বিক্রয় করে নিজ
ব্যবহারের জন্য ৫০,০০০ টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ ক্রয় করলো।
জুন ২০ : ঘোষ এন্ড সন্সের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় ৯,০০০ টাকা, যার ৫০%
ধারে।
জুন ২৩ : ঘোষ এন্ড সন্সকে তার পাওনা পরিশোধ করো হলো এবং ২০০ টাকা বাট্টা
পাওয়া গেল।
জুন ২৬ : ৩০,০০০ টাকার পণ্য নগদে বিক্রয় করা হলো।
জুন ৩০ : ম্যানেজারের বেতন প্রদান করা হলো ১০,০০০ টাকা।
নির্দেশনা :
- হিসাবচক্রের ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
- ঘটনা হতে লেনদেন শনাস্ত করতে হবে।
- হিসাব সমীকরণে লেনদেনের প্রভাব বর্ণনা করতে হবে।
- খতিয়ান পোস্টিং ও জের নির্ণয় করতে হবে।
- নগদান বই প্রস্তুত করতে হবে।
নমুনা সমাধান
হিসাব চক্রের ধাপ সমূহ : হিসাব বিজ্ঞানের কার্যাবলী পরস্পর
ধারাবাহিকতার সম্পর্কযুক্ত যে পর্যায়ে বা ধাপগুলোতে সম্পাদিত হয় প্রতিটি
হিসাব করলে একই রূপে আবর্তিত হয় তার গতিধারাকে হিসাব চক্র বলা হয় মোটকথা
হিসাববিজ্ঞানের কার্যবলি প্রত্যেকটি কতকগুলো পর্যায়ে বা ধাপে সম্পাদিত হয়
এই ধাপগুলোর কতকগুলো আবশ্যক এবং কতকগুলো ঐচ্ছিক অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান বিশেষে
অনুসৃত না হলেও চলে। হিসেব চক্রের এ ধাপগুলো নিচে প্রদর্শিত হল:
হিসাব চক্র |
হিসাব চক্রের আবশ্যিক ধাপ সমূহ নিচে বর্ণনা করা হলো
১) লেনদেনসমূহ সংগ্রহ ও ডেবিট ক্রেডিট বিশ্লেষণ : হিসাব কার্যের প্রথম
ধাপে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঘটনা বা লেনদেন সমূহ চিহ্নিত ও সংগ্রহ করা হয়
অর্থাৎ লেনদেন সংক্রান্ত চালান, ভাউচার, মেমোরি, বিল ইত্যাদি প্রমান পত্র
সংগ্রহ করা হয়। এতে বর্ণিত আর্থিক মূল্য ও পক্ষসমূহ নিরূপণ করা হয় এবং
তাদের ডেবিট ও ক্রেডিট এ বিশ্লেষণ করা হয়।
২) লেনদেন লিপিবদ্ধ করণ বা জাবেদা ভূক্তকরণ : হিসাবচক্রের দ্বিতীয়
ধাপে লেনদেনগুলো তাদের ডেবিট ক্রেডিটের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বইয়ে
যেমন ক্রয় বই,বিক্রয় বই, নগদান বই বা সাধারণ জাবেদা লিপিবদ্ধ করা হয়।
জাবেদায় লেনদেন কাজকে জাবেদা ভূক্তকরণ বা জাবেদায়ন বলা হয়।
৩) শ্রেণীবদ্ধকরণ বা খতিয়ানভুক্ত করণ : জাবেদায় লিখিত লেনদেন হতে
হিসাব গুলোর প্রকৃত অবস্থা অর্থাৎ দেনা-পাওনা সম্পত্তির হ্রাস বৃদ্ধি বিশেষ
খাতে আয় ব্যয় ইত্যাদি কিছুই জানা যায় না।হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি জানার
জন্য লেনদেন হিসাব আকারে খতিয়ানে শ্রেণীবদ্ধ আকারে সাজাতে হয়।
৪) সংক্ষিপ্তকরণ : আমরা জানি খতিয়ান উদ্বৃত্ত গুলোর সাহায্যে
চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু জাবেদা খতিয়ানে কোন ভুল সংঘঠিত হয়ে
থাকলে চূড়ান্ত হিসাব ভুল হতে পারত। তাই চূড়ান্ত হিসাব প্রণয়নের পূর্বে
হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করে নিতে হয়। এজন্য খতিয়ান হিসাবগুলোর
সংক্ষিপ্ত ফলাফল অর্থাৎ জের বা ব্যালেন্স নির্ণয় করে ডেবিট জের গুলো ডেবিট
দিকে এবং ক্রেডিট জের গুলো ক্রেডিট দিকে লিখেন একটি বিবরণ পত্র তৈরি করা হয়,
একে বলা হয় রেওয়ামিল।
৫) সমন্বয় করন : হিসাবচক্রের পঞ্চম ধাপে হিসাব কালের সাথে সম্পর্কিত
অলিখিত ও অগ্রিম ব্যয়ের দফা গুলো ভুল ভ্রান্তির বিষয়গুলো এবং এক হিসাব করতে
প্রয়োজনে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের কাজগুলো সেরে নিতে হয়। হিসেবে এ
কাজগুলোকে বলা হয় সমন্বয় করণ।
৭) সমন্বয় পরবর্তী শুদ্ধতা যাচাই : হিসাবের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও
বকেয়া-অগ্রিম আয়-ব্যয় সমন্বয়ের পর সংশোধিত সব জের নিয়ে তৈরি করা হয়
রেওয়ামিল। একে বলা হয় সমন্বিত রেওয়ামিল। এতে সকল হিসাবের হিসাব সমাপনী
সঠিক ও পরিপূর্ণ জেরগুলো দেখানো হয় বলে এর ভিত্তিতে প্রস্তুত চূড়ান্ত
হিসাবের সঠিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা নিরূপিত হয়।
৮) ফলাফল নির্ণয় ও আর্থিক অবস্থা নিরূপণ : হিসাবচক্রের সপ্তম
ধাপ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ব্যবসায়ের হিসাব কালের লেনদেনগুলোর ফলাফল
অর্থাৎ লাভ লোকসান ও আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা হয়। অন্যান্য হিসাব
পর্যায় গুলো এ ধাপকে লক্ষ্য করে আবর্তিত হয়।
(খ)
হিসাব সমীকরণে ২, ৫, ৯, ২০ তারিখের লেনদেনের প্রভাব দেখানো হলো :
টিকা : জুন ১৭ তারিখের ঘটনাটি লেনদেন নয়। তাই দালিখা দেওয়া হয় নি।
(ঘ)
Thanks😊😊
ReplyDelete