কোভিড-১৯ : মাস্ক পরিধানের গুরুত্ব
মাস্ক পরিধান কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি যখন হাঁচি কাশি দেয় বা কথা বলে, তখন কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি নাক ও মুখ দিয়ে ক্ষুদ্র জলকণার সাথে বেরিয়ে আসে, এবং কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি শ্বাস নেয়ার সময় সেই ক্ষদ্র জলকণা টেনে নেয়, তবে সেও সংক্রামিত হবে। তাই ঘরের বাইরে গেলে অথবা অপরিচিত মানুষজনের মাঝে গেলে মাস্ক পরিধান করা খুবই জরুরি। মাস্ক আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ভাইরাসটির সহজে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারে। কাজেই, কেউ অসুস্থ অনুভব করলে অন্যদের সুরক্ষার্থে তাকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। সুস্থ ব্যক্তি যদি মাস্ক পরিধান করে, তবে এটি তাকে আংশিক সুরক্ষা দিতে পারে। যদিও মাস্ক পরিধান করা সম্পুর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না, তবু এটি ভাইরাসটির বিস্তার অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। মাস্ক পরিধান করার আগে আমাদের হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাস্কটি আমাদের মুখ ও নাকের ওপর রাখতে হবে এবং থুতনির নিচে ও কান বা মাথার পেছনে আটকাতে হবে। হাত পরিস্কার না করে আমাদের বারবার মাস্ক ধরা বা ঠিক করা উচিত নয়। একটি মাস্ক আমাদের একবারই ব্যবহার করা উচিত। তবে যারা মাস্ক পরিধান করেন না, তারা সহজেই কোভিড-১৯ দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী সারজিক্যাল মাস্কের চেয়ে কাপড়ের মাস্ক অধিক কার্যকরী। আবার, কাপড়ের মাস্ক ধোয়া যায়, পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং অন্যান্য মাস্কের তুলনায় বেশি আরামদায়ক। সুতরাং, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরো দেখুন :