স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সুফল ও কুফল সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
৭ই নভেম্বর, ২০১৯
বরাবর
জেলা প্রশাসক, ঢাকা।
বিষয় : স্যাটেলাইট টেলিভিশনের প্রভাব সম্পর্কে প্রতিবেদন।
সূত্র : জে.প্র.ত/২০১৯/২৭
জনাব,
স্যাটেলাইট টেলিভিশনের প্রভাব সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশে আদিষ্ট হয়ে নিচের
প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সুফল ও কুফল
মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের ফলে সারা বিশ্ব
আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগ ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে।
মহাবিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট চ্যানেল এই যোগাযোগেরই এক মাধ্যম। ডিশ এন্টেনার সংযোগ
স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিভি অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করা যাচ্ছে। বিগত
অরায় দু দশক ধরে আমাদের দেশ স্যাটেলাইট চ্যানেলের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা
যাচ্ছে। শুধু শহরাঞ্চলে নয়; স্যাটেলাইটের এখন গ্রামে গঞ্জেও পৌঁছে গেছে। ফলে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দর্শক-শ্রোতা এবং সমাজের সচেতন মানুষদের মধ্যে ডিশের
সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এখানে এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে
আলোকপাত করা হলো।
স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্যবহারের সুফল : ডিশ সংযোগ ব্যয়বহুল হলেও স্যাটেলাইটের
কতকগুলো সুবিধা রয়েছে। যেমন:
১. স্যাটেলাইটের সাহায্যে আন্তর্জাতিক জীবন চেতনার ধারায় মেধ ও মননকে সমৃদ্ধ করা
যায়।
২. শিক্ষা ও জীবনযাত্রার প্রতিযোগিতায় স্যাটেলাইটের সাহায্যে প্রদর্শিত অনুষ্ঠান
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দান করে থাকে।
৩. দেশি ও বিদেশি চ্যানেলের প্রচারিত জীবনমুখী বিগিন্ন অনুষ্ঠান দেখে আমরা অনেক
কিছুই জানতে পারছি, শিখতে পারছি।
৪. ভিনদেশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে অবগত হতে পারছি আমরা।
৫. এর মাধ্যমে বিশ্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্যবহারের কুফল : শুধু স্বভাবগত কারণেই মানুষের ভালো
অথবা মন্দ দিক উন্মোচিত হয়। কথিত আছে - একই ফুল থেকে ভ্রমর আহরণ করে মধু আর
মাকড়সা আহরণ করে বিষ। তেমনি স্যাটেলাইটের সুফলে বিপরীতে কিছু কুফল রয়েছে।
স্যাটেলাইট চ্যানেল ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ নিম্নরূপ:
১. বিদেশি চ্যানেলে প্রদর্শিত অতিমাতায় শালীনতা বর্জিত নানা দৃশ্য থেকে আমাদের
যুবসমাজ বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও
মর্যাদা হ্রাস পাচ্ছে।
২. ডিশের সাহায্যে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নানা কুরুচিপুর্ণ নৃত্য-গীত দেখার ফলে
তাদের চারিত্রিক অধঃপতন ঘটছে।
৩. স্যাটেলাইটের ফলে নৈতিক সামাজিক মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হচ্ছে। ছেলেমেয়েবো গৃহিণীরা
মেতে থাকছে টিভি প্রোগ্রাম নিয়ে অথচ আমাদের সমাজে প্রচলিত শাশ্বত মূল্যবোধকে তারা
হৃদয়ঙ্গম করতে পারছে না।
৪. বিভিন্ন সহিংস অনুষ্ঠান দেখে ছেলেমেয়েরা অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এতে বিঘ্নিত
হচ্ছে সামাজিক শান্তি ও স্থিতি।
পরিশেষে বলা যায় যে, স্যাটেলাইট টিভি আধুনিক প্রযুক্তির এক উন্নত সংস্করণ। এর গুরুত্ব বর্তমান বাস্তবতার অস্বীকার করা যাবে না। এর ভালো দিকগুলো গ্রহণের এবং
খারাপ দিকগুলো বর্জনের জন্যে যুবসমাজের প্রতি আহবান জানাই।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা: আহাদ-উজ-জামান,শান্তিনগর,ঢাকা-১২১৭
প্রতিবেদনের শিরোনাম: ডিশ এন্টেনার সুফল ও কুফল
প্রতিবেদনের সময়: সন্ধ্যা ৭টা।
তারিখ: ৭/১১/২০১৯