নমুনা সমাধান
পরিবেশের উপাদান সমূহের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্ক নিরুপণ
নিম্নে পরিবেশের উপাদান সমূহের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্ক নিম্নরূপ নিরূপণ করা হলো:
ভূগোলের ধারণা : গ্রীক পন্ডিত ইরেটোসথেনীস প্রথম ভূগোল শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। গ্রীক শব্দ ‘জিও’ অর্থ। ভূমন্ডল বা পৃথিবী এবং গ্রাফি অর্থ বর্ণনা, সার্বিক অর্থে মানুষের আবাস এই পৃথিবীর বর্ণনা। ভূগোল বিষয়ের এই মূল ধারণার আজ অবধি তেমন বড় ধরনের কোন পরিবর্তন হয় নাই। তবে এই প্রসঙ্গে ভূগোল এর দুটি আধুনিক সংজ্ঞা বিবেচনা করা যেতে পারে। হার্টশোনের
Geography is concerned to provide accurate, orderly and rational descriptions and interpretations of the variable character of the earth's surface.
ভূ-পৃষ্ঠের বৈচিত্রময় বৈশিষ্ট্যাবলীর সঠিক, শ্রেণীবদ্ধ এবং যুক্তিসঙ্গত বর্ণনা এবং বিশ্লেষণই ভূগোলের আলোচ্য বিষয়'।
আরেকজন বিখ্যাত বৃটিশ আধুনিক ভূগোলবিদ পিটার হেগেট (১৯৮১) এর মতে-
Geography is the study of the earth's surface as the space within which the human population lives.
অর্থাৎ যে শাস্ত্র ভূ-পৃষ্ঠকে মানবগোষ্ঠির বসবাসের স্থান হিসাবে অধ্যয়ন করে তাহাই ভূগোল।
পরিবেশের ধারণা : ভূপৃষ্ঠস্থ দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য যাবতীয় জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে পরিবেশ গঠিত। অজৈব পদার্থের আওতাভূক্ত বিষয়সমূহের মধ্যে পানি, বায়ুমন্ডল ও শিলা-মৃত্তিকা অন্যতম। বায়ুমন্ডল অদৃশ্য হলেও, শিলা-মৃত্তিকা ও পানি দৃশ্যমান। পানি, বায়ুমন্ডল ও শিলামৃত্তিকা সম্মিলিতভাবে জৈব পরিবেশের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। পরিবেশকে তার গঠন মৌলের আলোকে জৈব ও অজৈব এ দুই পরিবেশে ভাগ করা যায়। অজৈব পরিবেশ মূলত: প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলে। পানি, শিলা ও বায়ুমন্ডল প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান গঠনকারী উপাদান। অপরদিকে, এ সব প্রাকৃতিক পরিবেশ গঠনকারী উপাদানই আবার সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের গঠন ভিত্তি গড়ে তোলে এবং শক্তি ও খনিজ জোগানের মাধ্যমে পরিবেশ টিকিয়ে রেখেছে।
ভূগোলের পরিধি : ভূগোল চর্চা দুটো মূল ধারায় বিভক্ত: প্রাকৃতিক ও মানবিক ভূগোল। যে সব ভূগোলবিদ প্রাকৃতিক ভূগোল চর্চা করেন তাদের মূখ্য বিষয় প্রাকৃতিক বিষয়াদি। যেমন- শিলা, ভূমিরূপ, নদ-নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা ইত্যাদি। আবার, মানবিক ভূগোলবিদগণ মানুষ ও তার কর্মকান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেন। প্রাকৃতিক কিংবা মানবিক ভূগোল এ উভয় শাখায়ই ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে; ফলে উভয় ক্ষেত্রেই বহু উপবিভাগ গড়ে উঠেছে। যেমন, প্রাকৃতিক ভূগোল, ভূ তত্ত্ব, আবহাওয়া বিদ্যা এবং জীববিদ্যার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। আবার আচরণগত ভূগোল নৃতত্ত্ববিদ্যা এবং রাজনৈতিক ভূগোল রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত। উচ্চতর পর্যায়ে ভূগোলের এ উপভাগ সত্ত্বেও এ বিষয়ের মূল বক্তব্য নিয়ে এখনও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে, বিশেষত স্কুল থেকে কলেজ পর্যায়ে। ভূগোলের এই পরিচয়গত অস্পষ্টতা দূরীকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে '৭০ এর দশকে ভূগোল বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর রিপোর্ট করতে বলা হয়।
পরিবেশের উপাদান :
প্রাকৃতিক ও জৈব এই উভয় পরিবেশই আপাত : সহজ মনে হলেও তা অত্যন্ত জটিল এবং এদের গঠন উপাদানসমূহ পরস্পরে নিবীড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। নিম্নে এসব প্রাকৃতিক ও । জৈব পরিবেশের বিভিন্ন গঠন উপাদানসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ভূমি : প্রাকৃতিক পরিবেশ এর অন্যতম গঠন মৌল ভূমি, যা শিলা ও খনিজের সমন্বয়ে গঠিত। ভূ পৃষ্ঠের কঠিন বহিরাবরনই বিভিন্ন ধরনের শিলায় গঠিত। এ সব বিভিন্নধর্মী শিলা ভূ-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার সাথে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অবয়বের ভূমিরূপ গঠন করে থাকে।
পানি : ভূপৃষ্ঠের তিনভাগই পানির আওতায়। সমুদ্রই পানির প্রধান উৎস। তাছাড়া, তুষার আচ্ছাদিত মেরু দেশীয় ভূখন্ড ও উচ্চ পার্বত্য এলাকার বরফাচ্ছন্ন এলাকাসমূহ, নদ-নদী, হ্রদ, জলাভূমি পানির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উৎস।
বায়ুমন্ডল : ভূঅভ্যন্তর থেকে বের হওয়া গ্যাসীয় পদার্থ থেকেই বায়ুমন্ডলের সৃষ্টি। এর প্রধান গ্যাস নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আরগন ও কার্বন-ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস আছে। বায়ুমন্ডল সম্পূর্ণ ভূগোলক মুড়িয়ে রেখেছে এবং মাধ্যকর্ষন শক্তির কারণেই তা পৃথিবীর সাথে । লেপটে আছে। বায়ুমন্ডলের পুরুত্ব বিষুবীয় অঞ্চলে বেশী এবং মেরু অঞ্চলে সব চেয়ে কম।
পরিবেশের উপাদানের সাথে মানুষের সম্পর্ক ও গুরুত্ব : ভূ প্রকৃতি, মৃত্তিকা, জলবায়ু, নদ-নদী, আয়তন, অবস্থান, খনিজ সম্পদ। ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদনসমূহ যেমনিভাবে পরিবেশের উপাদান। হিসেবে আমাদের কর্মকান্ডকে প্রভাবিত করে তেমনিভাবে শিক্ষা, সংস্কৃতি, জাতি, ধর্ম, সরকার এগুলোর মত মনুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন উপাদানসমূহও পরিবেশ হিসেবে আমাদের উপর প্রভাব বিস্তর করছে। তাই পরিবেশের উপাদানসমূহকে প্রধানত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা :
ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ;
খ) অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ
প্রাকৃতিক পরিবেশ হচ্ছে সে সব প্রাকৃতিক উপাদানের সমষ্টি যার উৎপত্তি এবং সৃষ্টি সরাসরি সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বা সৃষ্ট এবং এর উপর মানুষের কোন হাত নেই। নিচে প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান প্রধান উপাদানগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো:
১. ভূ-প্রকৃতি মূলত : ভূমির অবস্থা বা ধরনই হচ্ছে ভূ-প্রকৃতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বা অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি মূলত : পার্বত্য ভূমি, মালভূমি, সমভূমি, উপত্যকা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের এসব ভূ-প্রকৃতি বিভিন্নভাবে মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে থাকে।
২. আয়তন : আয়তন বলতে কোন দেশের রাজনৈতিক বা আর্জাতিক সীমারেখাকে বুঝায়। একটি দেশের আয়তন ছোটো, বড় বা মাঝারি যে । কোন ধরনের হতে পারে। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হিসেবে এই আয়তনও মানুষের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তর করে থাকে। যেমন- আয়তনে বড় দেশগুলো সম্পদে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রপূর্ণ হয় যা সেদেশের মানুষের জন্য অনেক বেশী সুবিধাজনক।
৩. অবস্থান : কোন দেশ পৃথিবীর কোন অঞ্চলে অবস্থিত সেটাই হচ্ছে তার ভৌগোলিক অবস্থান। একটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থান চার প্রকারের হতে পারে। যথা : i) দ্বৈপ অবস্থান; যেমন- জাপান, বৃটিশ দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি। মন- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ইত্যাদি ii) উপদ্বীপ অবস্থান; যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ইত্যাদি iii) মহাদেশীয় অবস্থান; যেমন- আফগানিস্প্রন, নেপাল, ভুটান ইত্যাদি। iv) প্রাষ্টয় অবস্থান; যেমন- সুইডেন, চীন ইত্যাদি। কোন দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা এবং এর উন্নতি এই ভৌগোলিক অবস্থানের উপর অনেক নির্ভরশীল।
৪. জলবায়ু : অবস্থানগত তারতম্যের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উষ্ণ, নাতিশীতোষ্ণ, ঠান্ডা, চরম ভাবাপন্ন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু দেখা যায়। জলবায়ুর এই বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বাসস্থান, । শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রক্রিয়া, কর্মকুশলতা ইত্যাদির ভেতর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
৫. মৃত্তিকা : ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ যেসব উপাদান দিয়ে গঠিত তাকে মৃত্তিকা বা সহজ কথায় মাটি বলে। মৃত্তিকা মূলত : বেলে, এটেল, দো-আঁশ, পলি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। মৃত্তিকার বিভিন্নতার উপর ভিত্তি করে এদের গঠন প্রকৃতি, উর্বরা শক্তি ইত্যাদিও বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে যার উপর মানুষের উপজীবিকা নির্ভর করে।
৬. বনভূমি : স্বাভাবিক উদ্ভিজ্জ ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা জন্মে থাকে। এসব গাছপালার সমন্বয়ে বিভিন্ন বনভূমির সৃষ্টি হয় যা পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তর করে থাকে।
৭. খনিজ সম্পদ : পেট্রোলিয়াম, গ্যাস, কয়লা, লোহা ইত্যাদিকে খনিজ সম্পদ বলে। এগুলো হচ্ছে পৃথিবীর শিলাস্তরে অবস্থিত রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের যৌগিক পদার্থ। কোন অঞ্চলে খনিজ সম্পদ ক্ষেত্রের আবিস্কার অতি দ্রুত সেই স্থানের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ধরন বদলে দিতে পারে।
৮. নদ-নদী ও সাগর : ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, পৃথিবীর আদি সভ্যতাগুলো নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল। আমরা আরও দেখতে পাই যে, যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকার কারণে সাগর বা মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলো ব্যবসায়বাণিজ্যে অধিক উন্নতি লাভ করেছে। এক্ষেত্রে আমরা বৃটেন ও জাপানের উদাহরন দিতে পারি। তাই বলা যায় যে, প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে নদ-নদী ও সাগর ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯. উপকূল রেখা : উপকূল রেখা প্রাকৃতিক পরিবেশের আরও একটি । গুরত্বপূর্ণ উপাদান। এই উপকূল রেখা ভগ্ন বা অভগ্ন উভয় ধরনেরই হতে পারে। ভগ্ন উপকূল রেখা মৎস চাষ, বন্দুর ও পাতোশ্রয় নির্মানের জন্য অত্যড় উপযোগী।
আর ১০. প্রাণী ও প্রাণীজ সম্পদ : পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশ বিরাজ করায় সেখানে বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল গড়ে উঠেছে। এসব প্রাণীর জাত, উপজাত, বিচরন ক্ষেত্র, আহার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের। এই প্রাণী ও প্রাণীজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর অনেক মানুষ তাদের জীবিকা অর্জন করছে।
অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ
মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব। থেকে মেধাও দক্ষতার বিকাশ, প্রশাসন, ধর্মীয় নীতি, লোকজ সংস্কার ইত্যাদির মাধ্যমে তার নিজের উপযোগী অনুকূল সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। চালিয়ে যাচ্ছে। আর পরিবেশের এই অংশটি যা মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট এবং নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাই হচ্ছে অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ। জাতি, ধর্ম, সরকার, জনসংখ্যা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি হচ্ছে এই মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট সামাজিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান।
১. জাতি : পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির মানুষ বাস করে। জাতিগত বৈশিষ্ট্য একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যেসব জাতির লোক পরিশ্রমী, উদ্যমী, বুদ্ধিমান । এবং সহিষ্ণু সেসব জাতি তাড়াতাড়ি উন্নতি লাভ করতে পারে।
২. ধর্ম : বিভিন্ন ধর্মের নিয়ম ও অনুশাসন বিভিন্ন প্রকার। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের কর্ম জীবনে যেমনি প্রভাব বিসুর করে তেমনি এর প্রভাবের কারণে অর্থনৈতিক কার্যকলাপও ভিন্নরূপে গড়ে ওঠে। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে জীব হত্যা পাপ বলে জৈন ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল বিশেষ করে চীন, জাপান, মায়ানমার (বার্মা) প্রভৃতি দেশে দীর্ঘকাল মৎস ও মাংস শিল্পের প্রসার ঘটেনি।
৩. জনসংখ্যা : ভূ-প্রকৃতি, উর্বরতা, জীবিকার সংস্থান, যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক কারণের উপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে। আর একটি দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলী এই জনসংখ্যা দ্বারা সম্পাদিত হয়।
৪. সরকার : সরকার হলো দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত একটি সংগঠন। কোন দেশের সরকারের কাঠামো –এর স্থিতিশীলতা ও শক্তিমত্তা, সে দেশের শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর প্রভাব বিস্তর করে থাকে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য একটি দেশে। সৎ, বলিষ্ঠ ও জনপ্রিয় সরকার অত্যড় গুরত্বপূর্ণ।
৫. শিক্ষা : সামাজিক পরিবেশের অন্যতম উপাদান হিসেবে শিক্ষা একটি । দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। তাই উপযুক্ত ও আধুনিক শিক্ষা উন্নতির সোপান। যে দেশের লোক যত বেশী শিক্ষিত সে । দেশ তত উন্নত। উদাহরণ হিসেবে এক্ষেত্রে আমরা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশের নাম বলতে পারি।
৬. সংস্কৃতি : মানবিক গুণাবলী বিকাশের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি গুরত্বপূর্ণ। ভূমিকা পালন করে। তাই সংস্কৃতিতে অগ্রসর জাতি দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারে।
Sumaiya Akter
Karatoa Multimedia College, Bogura
আরো দেখুন :
৩য় সপ্তাহের নমুনা সমাধান :
SSC : ভূগোল ও পরিবেশ