অনুচ্ছেদ : কোভিড-১৯ : লক্ষণ ও প্রতিরোধ

কোভিড-১৯ : লক্ষণ ও প্রতিরোধ


কোভিড-এর পূর্ণরূপ হলো করোনা ভাইরাস ডিজিস; যেহেতু এটি ২০১৯ সালে প্রথম মানবজাতিকে সংক্রমিত করেছে তাই একে নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ বলা হয়ে থাকে। এই মারাত্মক সংক্রামক রোগটি সারস-কোভ-২ (SARS-CoV-2) নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই ভাইরাস মূলত শারীরিক সংস্পর্শ এবং  শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে ছড়ায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে চৌদ্দ দিনের মধ্যে প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া, পেশি ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি। কারো কারো গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন- প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া। বয়স্ক ও মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, কোভিড-১৯ এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ বা প্রমাণিত টীকা নাই, যদিও কয়েকটি উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। তাই, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই কোভিড-১৯ থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। ঘরের বাইরে অথবা জন-সমাগমে গেলে আমাদের অবশ্যই ফেইস-মাস্ক পড়তে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজ করতে হবে, চোখ মুখ ও নাকে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু দিয়ে অথবা কনুই দিয়ে ঢেকে নিতে হবে, এবং বাইরে মানুষের সাথে দেখা হলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে, বেশি বেশি পানি পান করে এবং কিছু হালকা ব্যায়াম করে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। সম্ভাব্য লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে (আলাদা) রাখতে হবে যাতে অন্যরা তার সংস্পর্শে আসতে না পারে। অতএব, কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকা অধিকাংশে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর নির্ভর করে।


একই অনুচ্ছেদ আবার সংগ্রহ করে দেওয়া হলো


Covid-19 বা করোনা ভাইরাস ডিজিস একটি অত্যান্ত সংক্রামক শ্বাসতন্তের রোগ। এ রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, স্বাদ বা গন্ধ অনূভুতি হ্রাস, পেশি ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি। তবে গুরুতর রোগীরা পছন্ড শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া ও ভুগতে পারে। বয়স্ক ও মারাত্নক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন –শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, কোভিড–১৯ এর কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয় নি। বাংলাদেশ সহ বহু দেশে এই ভাইরাস এর ভ্যক্সিন তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। তাই, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় কোভিড–১৯ থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। ঘরে বাহিরে অথবা জনসমাগমে গেলে আমাদের অবশ্যই ফেইস মাস্ক পরিধান করতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে অথবা জীবাণুমুক্ত করতে হবে, চোখ, মুখ ও নাকে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকবে, হাচিঁ –কাশি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু দিয়ে অথবা কুনুই দিয়ে ঢেকে নিতে হবে, এবং বাইরে লোকজনের সাথে সাক্ষাতের সময় কমপক্ষে ৩ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে, বেশি করে পানীয় জল পান করে এবং হালকা ব্যয়াম করে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। কোভিড –১৯ এর নিরাময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকাকালীন কোভিড–১৯ কে প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই এই ব্যবস্থাগুলো অনুসরণ করতে হবে।


আরো দেখুন :
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post