ঊর্ধ্বশির যদি তুমি কুল-মান -ধনে;
করিও না ঘৃণা তবু নিশিচর জনে।
মূলভাব : অহংকার পতনের মূল। আল্লাহ অহংকারিকে পছন্দ করেন না। তবু মানুষ অহংকার করে। এমনি অহংকার করে করে মানুষ নিজেকে বড় করে প্রচার করে।
সম্প্রসারিত ভাব : আত্মঅহংকারীরা ছোটকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করে। এরা মূলত একসময় হারিয়ে যায়, বিলীন হয়ে যায়। মানুষ তো সামাজিক জীব। সমাজের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকতে হয়। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া সমাজে বাঁচা যায় না। সমাজের সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে না। সমাজ হয়ে পড়ে অসহিষ্ণু। সহনশীলতার অভাব দেখা দেয় মানবসমাজে। মানুষের জীবন নেমে আসে ধ্বংস ও পরাজয়। এই ব্যর্থতা ও পরাজয়ের মূলে থাকে আত্নঅহংকার। হীনম্মন্য মানুষই অন্যকে ছোট ভাবে, অবহেলা করে; নিজের গৌরব প্রচার করে— যে গৌরবে দেশের, সমাজের কোনো মঙ্গল থাকে না৷ ধনসম্পদের গৌরবে, বিদ্যা-বুদ্ধির অহংকারে, বংশমর্যাদার আভিজাত্যে অন্ধ মানুষ নিজে যেমন অতল গহ্বরে তলিয়ে যায়, নিষ্প্রভ ও বিলীন হয়ে যায়, তেমনি মানব সংসারে রেখে যায় পরাজয়ের দাগ।এ ধরনের মানুষ সমাজের অন্য মানুষকে বিশেষ করে সাধারণ অসহায় মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আনন্দ পায়। একসময় তাদের জীবনও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে তা তারা ভাবতেও পারে না। ইতিহাসের পাতায় এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।
মন্তব্য : তথাকথিত স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠত্ব চিরদিন বজায় থাকে না। কারণ অহংকার শেষ পরিণতি হলো পতন।