এ বছরের এসএসসি বা সমমানের ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টে নকল ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট নিজ হাতে করে জমা দিচ্ছে কি না বা নকল করছে কি না, তা মনিটরিংয়ের উদ্যোগ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় মাউশি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আলাদা করে এ সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা জারি করেছে মাউশি।
হাইলাইটস
- অ্যাসাইনমেন্টে নকল ঠেকাতে কমিটি গঠন
- কোনো অসদুপায় বা নকল হলে অবহিত করা
- শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট করা
- শিক্ষক কর্তৃক অ্যাসাইনমেন্টের যথাযথ মূল্যায়ন এবং নম্বরগুলো সংরক্ষণ
শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসএসসি বা সমমানের এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা মনিটরিংয়ের জন্য ‘অ্যাসাইনমেন্ট মনিটরিং কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি–বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নেতৃত্বে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের (অধ্যক্ষ) নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হবে।
এ কমিটিগুলোর করণীয় বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, সব পরীক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে কি না, তা নিশ্চিত করবে। শিক্ষার্থীরা যেন কোনোক্রমেই অ্যাসাইনমেন্টগুলোয় নকল বা কোনো প্রকারের অসদুপায় অবলম্বন না করে, সে বিষয়ও নিশ্চিত করবে। কোনো শিক্ষার্থী যদি অ্যাসাইনমেন্ট নকল করেছে বলে প্রতীয়মান, তাহলে এটি বাতিল করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হবে। এবং বিষয়টির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীকে সতর্ক করবে কমিটি।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সহায়তায় অ্যাসাইনমেন্ট বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক, ইউটিউব, ব্লগ) সাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা সহায়ক হিসেবে না নিয়ে হুবহু সেগুলো কপি/নকল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিচ্ছে। সেজন্যে মাউশি কর্তৃক এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যেন অ্যাসাইনমেন্টগুলো নিজ হাতে লিখে জমা দেয়, সে বিষয় নিশ্চিত করতে কাজ করবে কমিটি। নির্দেশনা মোতাবেক অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে যথাযথভাবে মূল্যায়ন, সংরক্ষণ এবং প্রাপ্ত নম্বরগুলো সঠিকভাবে এক্সেল শিটে এন্ট্রি করা হচ্ছে কি না, তা কমিটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রত্যেক কমিটি তার নিজ প্রতিষ্ঠানে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফলভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না বা তা কার্যকর করার লক্ষ্যে সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) থেকে সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতেও বলা হয়েছে।
তারিখ : ২৬শে আগস্ট, ২০২১