খাস জমি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার প্রভৃতি অসাধু শ্রেণীর কতিপয় লোকজন কর্তৃক বেদখল
হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রতিবেদন রচনা।
সরকারি জমিসহ চরাঞ্চলে খাস জমি দখল-বেদখলের মুখে
তানহা তাজমিন : দশমিনা (পটুয়াখালি) : উপজেলার হাটবাজার ও সড়কের দুই
পাশের সরকারি জমিসহ চরাঞ্চলের খাস জমি দেদারছে দখল বেদখল হচ্ছে। দশমিনা ও নলখোলা
বাজারের বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি নির্বিঘ্নে দখল করে দোকানপাট ও আবাসিক ঘর
নির্মাণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, উপজেলার প্রায় ১৫টি হাটবাজার খাস জমি দেখা শোনা ও
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব খানিকটা দখল সংশ্লিষ্ট এলাকার তহসিলদারগণের। কিন্তু তাদের
সহায়তা নিয়েই দখলদারিত্ব চলছে। প্রথমে দোকানের সামনে চালা লাগিয়ে খানিকটা দখল
করে। প্রতিরোধ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে বিশাল দোকানঘর নির্মান করে। সদর বাজারে একটি
রাস্তা সম্পূর্ণ দখল করে তার উপর ৫০ কক্ষবিশিষ্ট একটি ব্যবসাকেন্দ্র নির্মাণ করা
হয়েছে। একইভাবে নলখোলা বন্দরে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একটি মসজিদের টিউবওয়েল বিলীন করে
সম্পত্তিসহ অনেক টাকার সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। রাস্তার দুপাশের জায়গা
দখল করায় হাটের দিন জনগণ অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলায় চরহাদী, চর
বাঁশবাড়িয়া, চর শাহজালাল, চর বোরহানসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি
একশ্রেণির লোকেরা দখল করে নিচ্ছে। জানা গেছে, ভুয়া জাল জালিয়াতি ও ভূমি নীতিমালা
বহির্ভূত কাগজপত্র তৈরি করে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী লোকেরা স্বনামে বেনামে
পাকা রেকর্ড পর্যন্ত করিয়ে নিয়েছে এসব জমিজমা। ২০০২-২০০৩ সালে চরাঞ্চলসহ
প্রত্যেকটা ইউনিয়নে খাসজমি বন্দোবস্তের নামে তথাকথিত ভূমিহীনদের নামে এসব জমিজমা
বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। উপজেলা সদর বাজারে নামেমাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ
নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছুদিনেফ মধ্যে এদের উচ্ছেদ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ককর্তৃপক্ষ
জানিয়েছেন। যদিও এ কর্তৃপক্ষের এ আশ্বাস সম্পর্কে জনগণের সন্দেহ রয়েছে।