পহেলা বৈশাখ

ভাষণ : আলোকিত মানুষ চাই

‘আলোকিত মানুষ চাই’- শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রধান অতিথির একটি ভাষণ রচনা কর ।


‘আলোকিত মানুষ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা

শ্রদ্ধেয় সভাপতি, আজকের সভার অতিথিবৃন্দ ও সুধীমণ্ডলী, আসসালামু আলাইকুম। শুরুতেই ‘আলোকিত মানুষ চাই’ শীর্ষক আজকের এই জনগুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

সুধীমণ্ডলী,
মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা যায় না। মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়, জ্ঞান অর্জন করতে হয়। জ্ঞান মানুষকে যোগ্যতা দান করে, মানুষকে বিশ্বজগতের সাথে পরিচিত করে। মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য জ্ঞানের সহায়তা অপরিহার্য। জ্ঞানের আলোকেই মানুষের জীবন বিকশিত হয়। শিক্ষিত মানুষই আলোকিত মানুষ।

সুধীবৃন্দ,
জাতিগঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও জাতির সার্বিক কল্যাণে আলোকিত মানুষই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষা মানুষের মানবিক, দৈহিক, নৈতিক প্রশিক্ষণের ধারাবাহিক পদ্ধতি বলে বিবেচিত। ফলে তারা নানা গুণের সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

সুধীমণ্ডলী,
ব্যক্তিজীবনের শিক্ষার আলো জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকেই যদি শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়, তাহলেই জাতিকে আলোকিত বলা যাবে। আলোকিত মানুষ ছাড়া জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন। যে জাতির শিক্ষিতের হার যত বেশি সে জাতি তত উন্নত। কাজেই আমরা জাতীয় কল্যাণে আলোকিত মানুষ চাই। আমাদের চাওয়া সফল হোক। একথা বলেই আমার বক্তব্য শেষ করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post