বায়ু দূষণ
পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বায়ু। বিশুদ্ধ বায়ু ছাড়া পৃথিবীতে কোনো জীবের অস্তিত্ব টিকে থাকা অসম্ভব। কিন্তু সুস্থ পরিবেশে সুস্থ জীবন এখন আর নেই। দূষিত বায়ু আমাদের জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন কারণে বায়ু দূষিত হতে পারে। তবে ধোঁয়া বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। কারখানার ধোঁয়া, রান্নার ধোঁয়া, ইট ভাটার ধোঁয়া, যানবাহনের ধোয়া প্রভৃতি থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড বায়ুতে মিশে বায়ুকে দূষিত করে। এছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব গ্যাস জলীয়বাষ্পের সঙ্গে এসিড তৈরি করে এবং বায়ুকে দূষিত করে। বৃষ্টির সঙ্গে এই এসিড ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। এরই নাম 'এসিড রেইন' বা অম্লবর্ষণ। অনেক যানবাহনের জ্বালানি তেলে সীসা মিশ্রিত থাকে যা কালো ধোঁয়ার সঙ্গে নির্গত হয়ে বাতাসে ভাসতে থাকে। ফলে বায়ু দূষিত হয়। তাছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, দাবানল, ধূলাবালি, কফ, থুথু, পায়খানা-প্রস্রাব ইত্যাদির কারণেও বায়ু দূষিত হয়। দূষিত বায়ুর নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেড়ে গেলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদির ধোঁয়া বায়ুর সঙ্গে সেবনের ফলে ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে। এসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদ, জলজ প্রাণী, দালানকোঠা প্রভৃতির ক্ষতি হয়। সীসাযুক্ত ধোঁয়া শিশু ও গর্ভবর্তী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অথচ বায়ু এমন একটি মূল্যবান পদার্থ, যা ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও বাঁচতে পারি না। সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু একান্ত প্রয়োজন। সুখী ও সুস্বাস্থ্যময় জীবনের জন্য বায়ু দূষণ রোধে সকলকে সচেষ্ট ও সচেতন হতে হবে। নিজে বায়ু দূষণ রোধ করার পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করে তুলতে হবে।
আরো দেখুন :
রচনা : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকারঅনুচ্ছেদ : পরিবেশ দূষণ
Thanks
ReplyDelete❤️❤️❤️
ReplyDelete😀
ReplyDeleteThanks
ReplyDelete