বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির জন্য
একটি ভাষণ রচনা করো।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
সম্মানিত সভাপতি, উপস্থিত সুধীবৃন্দ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জানাচ্ছি
শুভেচ্ছাও কৃতজ্ঞতা। জীবনের জন্য অন্যতম প্রয়োজন ক্রীড়া শিক্ষা। একজন
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের জন্য ক্রীড়ার সাথে জড়িত থাকা একান্ত জরুরি।
খেলাধুলা মানুষকে শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল করে।
ক্রীড়া শিক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ ও জীবন ধারণের মৌলিক বিষয়। আজকে বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সকলকে যেমন আনন্দ দিবে তেমনি সবার মাঝে ঐক্যের প্রতীক
হিসেবে কাজ করবে। একজন প্রকৃত ক্রীড়াবিদ সকলের বন্ধুতে পরিণত হয়। অনেকের
আদর্শ হিসেবে আজীবন বেঁচে থাকে। তার হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধ হ্রাস পায় ৷ তিনি
সকলের ভালোবাসার পাত্র হিসেবে বেঁচে থাকে। একজন সফল ক্রীড়াবিদ ভক্তদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে। আর পুরষ্কার
ক্রীড়াবিদকে সম্মানিত করে। তবে পুরষ্কারের আশায় শুধু ক্রীড়াবিদ হওয়া উচিত
নয়। অপরের আনন্দের উৎস হওয়া ও জরুরি।
সুধীবৃন্দ,
যুগ যুগ ধরে খেলাধুলা দেশে দেশে জাতিতে-জাতিতে, গ্রামে-গ্রামে ঐক্য গড়ে তুলেছে।
একে অপরকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়তা করেছে। তাই
লেখাপড়ার পাশাপাশি, দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি খেলাধুলা করা অত্যন্ত উপযোগী। এতে
শরীর, মন দুই ভালো থাকে।
সারাদিনব্যাপী এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে যারা মনোনিত হয়েছে তাদের সবাইকে
জানাচ্ছি অভিনন্দন। পুরষ্কার হিসেবেও আয়োজকরা এনেছে দেশি-বিদেশি মূল্যবান
জিনিসপত্র। এসকল পুরষ্কারক্রীড়ার প্রতি সবাইকে অনুপ্রাণীত করবে।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ,
সবার মধ্যে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বীজ। এর অঙ্কুরোধনামে সহযোগিতা করা
আমারে সকলেরই দায়িত্ব। যারা পুরষ্কার পেয়েছে অবশ্যই যোগ্যতার নিরিক্ষেই
পেয়েছে। আমি তাদের উন্নতি কামনা করছি। যারা পুরস্কার পায়নি, ভবিষ্যতে তাদেরও
সাধনার বলে প্রতিযোগিতার অংশ নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। কেননা জীবন একটি
প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। যেখানে নিজেকে তৈরি করতে হয় আগামী প্রতিযোগিতার জন্যে।
সবশেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।