বিজ্ঞান মেলা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লেখ।
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। নতুন নতুন উদ্ভাবনে দেশের সার্বিক উন্নতি ও ভাবমূর্তি
উজ্জ্বল হয়। নতুন উদ্ভাবনে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও অবদান রাখার জন্য সচেষ্ট। এই বড়
ও খুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে গত সপ্তাহে কক্সবাজার কে.জি. স্কুলে
বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
মেলায় ঘুরে দেখা যায়, শহর ও আশেপাশের ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করা
শিক্ষার্থীদের আবিষ্কৃত ও উদ্ভাবিত বিভিন্ন তথ্য জানতে শিশু কিশোর ও অভিভাবকরা
ভিড় করেছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী রাহীনা
আক্তার খুশির বিদ্যুৎবিহীন ফ্রিজ। খুশি জানায়, তিন ফুট উচ্চতার এ ফ্রিজ তৈরি করতে
খরচ লাগবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এটা তৈরিতে লাগবে ধাতব পাত্র, তুষ কিংবা
কাঠে গুঁড়ি, প্লাস্টিক পাত্র, বরফ পানি ইত্যাদি।
এছাড়া মেলায় এসেছে চোর ধরার যন্ত্র, সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর পদ্ধতি, স্বল্প খরচে
শীতাতপ পানি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ওয়াটার হিটার, তাপ নিরোধক জ্যাকেট, ইটের ভাটা থেকে
উৎপন্ন তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদব, তিন শত টাকায় আইপিএস, হাইড্রোলিক লিফট,
পারমাণবিক চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলসহ আরও অনেক
কিছু। সেদিন বন্ধের দিন হওয়াতে মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। অনেকে বন্ধুবান্ধবদের
সঙ্গে, অনেকে বাবা মার সঙ্গে মেলায় উপস্থিত হয়েছে। তবে তাদের সবারই উৎসুক দৃষ্টি
নতুন বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের প্রতি। এমন একটি মেলা পরিদর্শন
করে আমিও যথেষ্ট আনন্দিত ও উজ্জীবিত।