ভাষণ : বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

‘বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস’ উপলক্ষে একটি বেতার ভাষণ তৈরি কর।

অথবা, মিতব্যয়িতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ‘বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস’ উপলক্ষে একটি ভাষণ রচনা কর।


বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

সম্মানিত শ্রোতৃবৃন্দ, আমার শুভেচ্ছা ও সালাম নিন।


দিনের আলো থাকার পরেও যে অপ্রয়োজনে রাতের জন্য রাখা আলো খরচ করে ফেলে তার রাত আঁধারে কাটবে তাইতো স্বাভাবিক।

প্রিয় শ্রোতৃবৃন্দ,
মিতব্যয়িতা আর কার্পণ্য এক নয়। মিতব্যয়ী সেই যে নিজের প্রয়োজনমতো খরচ করে কিন্তু অপ্রয়োজনে নষ্ট করে না। আর কার্পণ্য তা, যা প্রয়োজনেও খরচ করে না। জীবনকে সুন্দর করতে হলে দেশকে অভাবমুক্ত রাখতে হলে, দৈন্য থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে হলে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে মিতব্যয়ী হতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী,
এক সময় বাংলায় গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ ছিল; ধান ছিল গোলা ভরা, মাছে-ভাতে বাঙালির সেই দিন আজ আর নেই। আজ বাঙালি ডাল-ভাত খেয়ে জীবনযাপনও করতে পারছে না। তাই যে সম্পদ আছে তাকে অপচয় না করে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে আবার সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে বিশ্বের ব্যয়বহুল দশটি শহরের একটি হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আমাদের এতটা বিলাসী মনোভাব পরিত্যাগ করতে হবে। থাইল্যান্ডের পর্যটন বিভাগ এক জরিপে দেখিয়েছে তাদের দেশের বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী ব্রিটিশরা আর সবচেয়ে অমিতব্যয়ী হলো বাঙালিরা।

আমাদের এ খরচের হাত খাটো করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করে স্বনির্ভর হতে হবে। জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বর্তমান প্রেক্ষিতে মিতব্যয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

তাই আসুন আমরা সকলে বিলাসিতা পরিহার করে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে মিতব্যয়ী হই। ইনশাআল্লাহ একদিন আমাদের সাফল্য আসবেই। সকলকে আবারও একরাশ ভালোবাসা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post