অনুচ্ছেদ : বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে


পৃথিবীতে সবকিছুই তার নিজ নিজ পরিবেশে সুন্দর ও মানানসই বলে বিবেচিত হয়। প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য বিকাশে একটি নিজস্ব পরিমণ্ডল রয়েছে। সে পরিবেশ থেকে তাকে সরিয়ে নিলে তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ব্যাহত হয়। পরিবেশের সাথে মিলিয়ে নিজেকে বিকশিত করা মানবজীবনের বৈশিষ্ট্য। বন্য মানুষের জীবনের বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, প্রকৃতির বিরূপ পরিবেশের সাথে নিজেদের মিলিয়ে নিয়ে তাদের জীবনপ্রবাহ চলছে। বনজঙ্গলের মধ্যেই তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের উন্নত জীবনের আস্বাদন দানের জন্য যদি জঙ্গল থেকে বের করে এনে আধুনিক সভ্যতার আলোকে উদ্ভাসিত জগতে স্থান দেওয়া যায়, তাহলে তারা বেমানান বলে বিবেচিত হবে। বন্য প্রকৃতির সামঞ্জস্যময় সৌন্দর্য থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে পরিবেশ বিপর্যস্ত করে ফেলবে। সে কারণে তাদের বন্যজীবনের সৌন্দর্যের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে মায়ের কোলে শিশুর সৌন্দর্যের বিষয়টি বিবেচনার যোগ্য। শিশু মায়ের কোলে সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে বিরাজ করে। ভিন্ন অবস্থানে শিশুর সে সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ থাকে না। শিশুর অনাবিল সৌন্দর্যের উৎস তার মায়ের কোল। আর এভাবেই আমরা প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিবেশে সবার সৌন্দর্যের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি।


আরো দেখুন :
ভাবসম্প্রসারণ : বন্যেরা বনে সুন্দর; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post