বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উপলক্ষে একটি ভাষণ লেখ।
অথবা, বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে একটি ভাষণ তৈরি কর।
অথবা, বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে একটি ভাষণ তৈরি কর।
বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, উপস্থিত সুধীমণ্ডলী,
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনারা নানা কথা শুনলেন।
বৃক্ষ আমাদেরকে ছায়া দেয়, ফল দেয়, ফুল দেয়, আমাদের বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয়
অক্সিজেন জোগায়। বৃক্ষ মানবসমাজের উপকারী বন্ধু। কিন্তু বর্তমানে বৃক্ষনিধনের যে
মহোৎসব শুরু হয়েছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। আমরা যে পরিমাণে গাছ কাটি, সে পরিমাণ গাছ
রোপণ করি না। ফলে বনভূমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গাছ
কেটে বনভূমি উজাড় করে ফেলা হচ্ছে। এর ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয়। এ ক্ষতি কমাতে হলে
আমাদের প্রত্যেককে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
বৃক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করে থাকে।
সরকারি পর্যায়ে এ সপ্তাহকে নানা কর্মকাণ্ডে মুখর করে তোলা হয়। এর প্রধান
উদ্দেশ্য বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব জনগণের কাছে তুলে ধরা। বনভূমি
রক্ষায় এবং অধিক বৃক্ষ রোপণে জনগণকে যদি সচেতন করে তোলা না যায় তাহলে জাতীয়
জীবনে বিপর্যয় দেখা দিতে বাধ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজনীয় গাছপালা কমে
যাওয়ার ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ঝড়, বন্যা, বৃষ্টিহীনতা ইত্যাদি
দেখা দেয়। এসব বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে অধিকহারে গাছ লাগাতে হবে
এবং অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া গাছ কাটা বন্ধ রাখতে হবে। আমরা বাঁচার জন্য যে
অক্সিজেন গ্রহণ করি, গাছ তা সরবরাহ করে। আমরা যে বিষাক্ত নিশ্বাস বাইরে ত্যাগ
করি, গাছ তা গ্রহণ করে আমাদের পরিবেশকে নির্মল রাখে। জ্বালানি কাজে কাঠ ব্যবহার
করা হয়। আবার বাড়িঘর নির্মাণে ও আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠের প্রয়োজন হয়।
সুতরাং অধিক হারে যদি আমরা বৃক্ষরোপণ না করি তাহলে আমাদের পরিবেশের যেমন ভারসাম্য
নষ্ট হবে তেমনি আমাদের অস্তিত্বও হবে হুমকির সম্মুখীন। সুতরাং আসুন আমরা সকলে
প্রতিজ্ঞা করি, বছরে প্রত্যেকে অন্তত দুটি বৃক্ষ রোপণ করব। যতটি কাটব তার দ্বিগুণ
বৃক্ষরোপণ করব। বৃক্ষরোপণ করা আমাদের জীবনের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আমি এই বলে
আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।