এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা তুলে ধরে একটি ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ভাষণ রচনা কর।
এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা শীর্ষক ভাষণ
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ও সমবেত শ্রোতামণ্ডলী,
আজ আমরা ডেঙ্গু আতঙ্কে আতঙ্কিত, এডিস মশার ভয়ে ভীত। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন
হই তাহলে আমাদের এমন অবস্থা থাকবে না।
প্রিয় সুধী,
আপনারা বোধ হয় জানেন ডেঙ্গুজ্বরের ভালো কোনো চিকিৎসা নেই, এ ভাইরাসের তেমন কোনো
প্রতিষেধক টিকা নেই, আছে শুধু রোগীর লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসা করা এবং রক্তের
প্লাটিলেট কমে গেলে প্লাটিলেট দেওয়া। এ চিকিৎসা ব্যয়বহুল। ডেঙ্গুজ্বরের একমাত্র
কারণ এডিস মশা, এ এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারলে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ করা
সম্ভব। এডিস মশাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও দমন করা যায় সে সম্পর্কে আমি কিছু
পরামর্শ তুলে ধরতে চাই :
১. এডিস মশা অন্যান্য মশার চেয়ে আকারে একটু বড় হয় এবং এদের শরীরে ডোরাকাটা দাগ
পরিলক্ষিত হয়। এ এডিস মশাকে শনাক্ত করে তার বিস্তার রোধ করতে হবে।
২. এডিস মশার বংশবিস্তার অন্যান্য মশার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। এ মশা পরিষ্কার বন্ধ পানিতে ডিম পাড়ে। ড্রেন বা নর্দমার পানিতে এরা ডিম পাড়ে না। সাধারণত বাড়ির আশেপাশে ফুলের টব, ডাবের খোসা, ভাঙা পাত্রে, পুরাতন টায়ার-টিউবের জমে থাকা পানিতে বা দুধ বা আইসক্রিমের কৌটায়, এসি বা ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এসব পাত্রে বৃষ্টির পানি জমা হয় বলে পানি পরিষ্কার থাকে।
৩. এডিস মশার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এসব স্থানে যাতে ডিম পেড়ে বংশবিস্তার না করতে পারে সেদিকে সর্বাগ্রে খেয়াল রাখতে হবে। এসব স্থানে যেন পানি না জমতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
৪. বাড়িঘরের আশপাশের ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, ডোবার কচুরিপানা পরিষ্কার করে রেখে সেখানে মাঝে মাঝে ওষুধ ছিটাতে হবে যেন মশা ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাতে না পারে।
৫. এডিস মশা সকালে এবং সন্ধ্যার সময় খাদ্যান্বেষণে বের হয়। তাই এ সময় যেন মশায় কামড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. ডেঙ্গু রোগীকে মশারির মধ্যে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তবাহিত রোগ। মশার মাধ্যমে এ রোগ একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
৭. ডেঙ্গুজুর প্রতিরোধের জন্য মশক নিধনের কার্যাবলি হাতে নিতে হবে।
৮. ডেঙ্গু ও এডিস মশা সম্পর্কে সকলকে ধারণা দিতে হবে এবং সকলেই যদি একযোগে এগিয়ে আসি তাহলে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্ভব। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা।
২. এডিস মশার বংশবিস্তার অন্যান্য মশার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। এ মশা পরিষ্কার বন্ধ পানিতে ডিম পাড়ে। ড্রেন বা নর্দমার পানিতে এরা ডিম পাড়ে না। সাধারণত বাড়ির আশেপাশে ফুলের টব, ডাবের খোসা, ভাঙা পাত্রে, পুরাতন টায়ার-টিউবের জমে থাকা পানিতে বা দুধ বা আইসক্রিমের কৌটায়, এসি বা ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এসব পাত্রে বৃষ্টির পানি জমা হয় বলে পানি পরিষ্কার থাকে।
৩. এডিস মশার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এসব স্থানে যাতে ডিম পেড়ে বংশবিস্তার না করতে পারে সেদিকে সর্বাগ্রে খেয়াল রাখতে হবে। এসব স্থানে যেন পানি না জমতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
৪. বাড়িঘরের আশপাশের ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, ডোবার কচুরিপানা পরিষ্কার করে রেখে সেখানে মাঝে মাঝে ওষুধ ছিটাতে হবে যেন মশা ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাতে না পারে।
৫. এডিস মশা সকালে এবং সন্ধ্যার সময় খাদ্যান্বেষণে বের হয়। তাই এ সময় যেন মশায় কামড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. ডেঙ্গু রোগীকে মশারির মধ্যে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তবাহিত রোগ। মশার মাধ্যমে এ রোগ একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
৭. ডেঙ্গুজুর প্রতিরোধের জন্য মশক নিধনের কার্যাবলি হাতে নিতে হবে।
৮. ডেঙ্গু ও এডিস মশা সম্পর্কে সকলকে ধারণা দিতে হবে এবং সকলেই যদি একযোগে এগিয়ে আসি তাহলে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্ভব। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা।
এতক্ষণ ধরে আমার বক্তব্য শোনার জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন,
সুন্দর থাকুন, এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। খোদা হাফেজ।