একটি সূর্যাস্তের দৃশ্য
সূর্যাস্তের দৃশ্য সর্বদা আকর্ষণীয়। একজন প্রকৃতিপ্রেমী কবির দৃষ্টিতে সূর্যাস্তের বর্ণনা প্রকৃতপক্ষেই হৃৎস্পন্দময়। মাঠ পেরিয়ে, বন-বনানীর, পাহাড়ের ওপর প্রতিফলিত সূর্যাস্তের রং ও রূপ প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে। সূর্য যত পশ্চিমে যায় তত বেশি বড় ও লাল হয়। পশ্চিম দিগন্তে এসে সূর্য ধূসর লাল বর্ণ ধারণ করে। তখন সূর্যের অতি লাল রশ্মির মৃদু কম্পনে বৃক্ষশাখা, পাহাড়চূড়া, ঘরের চালা, সাগর-সৈকত এবং হৃদয় স্পর্শ করে। সমগ্র প্রকৃতি স্বর্গীয় লালচে পোশাক পরিধান করে এবং সমুদ্র সৈকতে, নদী ও সাগরের বুকে মিষ্টি রোদ লুকোচুরি খেলে। কিন্তু যখন আকাশ বিক্ষিপ্ত মেঘে ঢাকা থাকে, তখন বিভিন্ন রঙের জাদু খেলা দেখতে পাওয়া যায়। তখন নীড়মুখী পাখিদের ওড়ার দৃশ্য সেই সৌন্দর্য ও আবেগের সঙ্গে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। এরকম সূর্যোদয়ের দৃশ্য কবিহৃদয়কে করে উদাসীন। অস্তগামী সূর্যের বর্ণিল জাদুতে নির্লিপ্ত মানুষের হৃদয়ও অনেক সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে সূর্যাস্ত সন্ধ্যালোকে মিলিত হয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে হয়ে ওঠে চিরন্তন আবেগময়।
আরো দেখুন :
রচনা : নদীতীরে সূর্যাস্তরচনা : যখন সন্ধ্যা নামে