‘হঠাৎ দুর্ঘটনা' বিষয়ে একটি খুদে গল্প রচনা করো :
হঠাৎ দুর্ঘটনা
হঠাৎ রিক্শার ডান চাকাটি খুলে দৌড়াতে লাগল। আমি ও শফিক হতভম্ব হয়ে যে যার মতো
লাফিয়ে পড়লাম। সঙ্গে সঙ্গে একটি দ্রুতগামী বাস শফিককে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল।
শফিকের দেহটি জড়িয়ে ধরে উদভ্রান্তের মতো বসে পড়লাম। আরও অনেকে ছুটে এলো।
বাসটিকে আটকাবার জন্য সবাই ধর ধর করে চিৎকার করে উঠল। কিন্তু বাসটি মুহূর্তের
মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। শফিকের দুর্বল দেহটি পড়ে আছে। সে আমার দিকে অসহায়ের মতো
তাকিয়ে আছে। আমি কী করব ভেবে পাচ্ছি না। ঠিক এমন সময় একটি পরিচিত কণ্ঠস্বর
শুনলাম— রাফিন কী হয়েছে? আমি পাশ ফিরতেই দেখলাম আমাদের বাংলা শিক্ষক ইব্রাহিম
কবীর স্যারকে। আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলাম। তিনি আমাকে সান্ত্বনা
দিয়ে বললেন, বিপদে শান্ত থাকতে হয়, তোমার বন্ধুর এ অবস্থায় তোমাকে ভেঙে পড়লে
চলবে না। শফিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। স্যার শফিককে রক্ত দিলেন এবং আমাকে
কিছু খাবার কিনে দিলেন। খবর পেয়ে আমার অন্যান্য বন্ধুরাও হাসপাতালে উপস্থিত
হয়েছে। শফিকের পরিবারকে খবর দেওয়া হলো। তারা সন্ধ্যা নাগাদ হাসপাতালে পৌছাল।
তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। তাদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারি
হয়ে উঠল। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে শুনে
আমিও আমার স্যার সেখানে গেলাম। স্যার সবাইকে বুঝিয়ে বললেন, এটি একটি দুর্ঘটনা এর
জন্য সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা উচিত নয়। বাসটি পুলিশ আটক করেছে সুতরাং
আমাদের প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।