ইন্টারনেট-এর গুরুত্ব বর্ণনা করে একটি ভাষণ রচনা কর।
‘ইন্টারনেট-এর গুরুত্ব’ শীর্ষক ভাষণ
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, মঞ্চে উপবিষ্ট আলোচকবৃন্দ এবং সমবেত
সুধীমণ্ডলী, আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। এই সুধী সমাবেশে আমাকে কিছু বলার সুযোগ
দেওয়ার জন্যে আমি প্রথমেই আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সুধীবৃন্দ,
মানবসভ্যতার বিস্ময়কর বিকাশে আধুনিক বিজ্ঞান যে অনন্য ভূমিকা পালন করছে তার
অন্যতম নিদর্শন ইন্টারনেট। বিচিত্র কর্মকাণ্ডে ইন্টারনেটের ব্যবহার জীবনকে করে
তুলেছে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ, সমৃদ্ধ হচ্ছে অগ্রসর মানুষের ধ্যানধারণা।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক বিস্ময়। এখন কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে ইন্টারনেট
প্রযুক্তি যুক্ত হয়ে এক বিস্ময়কর অবদানরূপে প্রকাশিত। জীবনের ব্যাপক ও বহুমুখী
কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে আধুনিক ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে বিপুলভাবে
সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।
সুধীমণ্ডলী,
বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। প্রথমদিকে এর ব্যবহার
ছিল সীমিত এবং শুধু ই-মেইলে তার প্রয়োগ ছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন থেকে অনলাইন
সংযোগ দেওয়া শুরু হলে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল জগতে প্রবেশ করে। ২০০০
সালের শুরুতে এর ৬০ হাজার সংযোগ দেওয়া হয়, এর পর থেকে তা বেড়েই চলছে। বর্তমানে
তা ক্রমাগতই বাড়ছে। এটি একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। এর অসংখ্য সুযোগ-সুবিধার জন্য
রয়েছে অগণিত সফটওয়্যার। যে ব্যক্তি যে ধরনের সুবিধা ভোগ করতে চায় তাকে
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।
সুধীবৃন্দ,
ইন্টারনেটের গুরুত্ব যে কতটা তা বলে শেষ করা যাবে না। বিশ্বের সর্বত্র সংবাদ
আদান-প্রদান করা যায় ইন্টারনেটের সাহায্যে। শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিনোদন, বিপণন, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োগ হচ্ছে।
ফলে শিক্ষার যেকোনো তথ্য জানা, মানুষের চিকিৎসা সুবিধা, দৈনিক পত্রিকার খবর,
শেয়ারবাজারের খবর, পরীক্ষার ফলাফল, বাজারের হালচাল সবই জানা যায় এই প্রক্রিয়ায়। এক
কথায় কোনোকিছুই আজ আর ইন্টারনেটের আওতার বাইরে নয়। কাজেই ইন্টারনেটের গুরুত্ব
অপরিসীম।
সবাইকে ধন্যবাদ ।