‘জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ সম্পর্কিত আলোচনা সভায় সুধীবৃন্দের উদ্দেশে
একটি ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ‘জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির উপস্থাপনের জন্য সুধীবৃন্দের উদ্দেশে একটি ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ‘জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি বেতার ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ‘জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির উপস্থাপনের জন্য সুধীবৃন্দের উদ্দেশে একটি ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ‘জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি বেতার ভাষণ প্রস্তুত কর।
‘জাতিগঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আমার শুভেচ্ছা নিন।
ছাত্রজীবন মানবজীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়। ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যৎ। কাজেই একটি
জাতির ভবিষ্যৎ উন্নতি-অবনতি তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই শ্রমের মর্যাদা,
সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, চরিত্র গঠন, দেশপ্রেম ও দেশসেবার মতো
গুণাবলি অর্জন করে ছাত্রসমাজকে তৈরি হতে হবে আগামী দিনগুলোর জন্যে।
সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধনই ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই
ছাত্রজীবনেই দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে হবে। ছাত্রদের মনে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত
হলে দেশ গঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই তারা উৎসাহী হয়ে উঠবে।
অশিক্ষিত ও নিরক্ষর মানুষ নিয়ে কোনো জাতি সমৃদ্ধ হতে পারে না। তাই এ অবস্থার
পরিবর্তনের জন্যে সরকার ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান’ চালু করেছেন। দেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চলে গঠন করা হয়েছে বয়বৃদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র। আমাদের ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে এসব
কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
কৃষিব্যবস্থা, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টার
পাশাপাশি আমাদের ছাত্রসমাজ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে।
ছাত্রসমাজ অশিক্ষিত জনগণকে শিক্ষিত করে তোলার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তাঘাট সংস্কার, সাঁকো তৈরি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রভৃতি
কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। ছাত্রসমাজ গণপাঠাগার স্থাপন করে শিক্ষার আলোকে
বিস্তৃত করতে পারে। এলাকায় পাঠাগার থাকলে বেকার যুবকরা বই পড়ে সময় কাটাতে
পারে। ফলে বখাটে হয়ে যাওয়ার হাত থেকে পাঠাগার তাদের রক্ষা করে। দেশের একটি
শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ছাত্রসমাজ। যুগে যুগে তারা জাতিগঠনে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল সাহসিকতায় পরিপূর্ণ। এ
ছাত্রসমাজকে যদি আমরা সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হবে।
পরিশেষে আবারও বলছি, ছাত্ররাই জাতির ভবিষ্যৎ। দেশ ও জাতিগঠনমূলক কার্যক্রমে
অংশগ্রহণ করে তারা জাতিকে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাদের কাছে
সেটাই জাতির প্রত্যাশা। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ
করছি।