ভাষণ : জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির একটি ভাষণ তৈরি কর।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, বিশেষ অতিথি উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।

আমাকে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কিছু বলার সুযোগ দেওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
আমি আজ এই ভেবে অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের এ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। যে ছোট মেয়েটি বক্তৃতায় প্রথম হয়েছে, তাকে আরও অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই মূলকথা, পুরস্কার পাওয়া নয়। আমরা জানি, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড; শিক্ষা ব্যতীত কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। আমাদের দেশের মা পরীক্ষায় পাস করাকেই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করে। কিন্তু যে শিক্ষা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে তার আত্মিক জাগরণ ঘটায় না, সেই শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা নয়। তাই আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জাতীয় জাগরণ, সেই সঙ্গে নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা।

সুধীমন্ডলী,
শিক্ষা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে। শিক্ষা জাগায় মনুষ্যত্ব, বিকাশ ঘটায় মানবিকতা ও বিশ্বমানবতার। নেপোলিয়ন বলেছিলেন- “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, তাহলে আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” আর একটি শিক্ষিত, মার্জিত ও মননশীল জাতিই পারে একটি দেশকে সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর আয়োজন করে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ। এই শিক্ষা সপ্তাহ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কোমলমতি মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যে মেধা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে তাতে আমি বিস্ময়ে হতবাক। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হতে পেরে আমি আনন্দিত, উল্লসিত ও গর্বিত।

সুধীবৃন্দ,
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ সমাপনী দিবসে প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন যথার্থ হয়েছে। তাদের প্রতিযোগিতায় পরিস্ফুটিত হয়েছে মেধা ও মননের সমন্বয়। শিক্ষার সঙ্গে এ সংস্কৃতির সমন্বয় একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা মনের মশালকে প্রজ্বলিত করে, আলোকিত করে বিশ্ববাসীকেও। এ শিক্ষার প্রসারে সরকারের কোনো অনাদর-অবহেলা নেই। সরকারের গৃহীত কার্যাবলির সঙ্গে আমাদেরকে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে হবে। তবেই জাতি পাবে নতুন পথের দিশা, দেশ হবে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত। আজকের এ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ একদিন হবে নিরক্ষরতামুক্ত, শতভাগ শিক্ষিত। একটি শিক্ষিত, মার্জিত ও উন্নত রুচিশীল জাতি হিসেবে এদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এ আশা রেখে সবাইকে ধন্যবাদ আনিয়ে শেষ করছি।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post