‘যে সহে যে রহে’ শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখো।
যে সহে যে রহে
বিষন্ন মনে নদীর পাশে বসে আছে রফিক। ভবিষ্যৎ নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন। কীভাবে
স্বপ্ন বাস্তব হবে তা সে জানে না। তবে স্বপ্ন পূরণ করতে হবে তা সে জানে।
অসচ্ছলতার জন্য তার বাবা বেশি দূর লেখাপড়া করতে না পারলেও সন্তানের লেখাপড়ার
জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করেন। তিনি চান না অর্থের অভাবে তার সন্তানের লেখা-পড়া
থেমে যাক। রফিক তার বাবার স্বপ্ন পূরণে বদ্ধপরিকর। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল।
কিন্তু বাদ সাধে তার বাবার আকস্মিক মৃত্যু। বাবার অবর্তমানে রফিকের কাঁধে এসে
পড়ে পুরো পরিবারের দায়িত্ব। রফিকের পড়ালেখায় ২ বছরের ছেদ পড়ে। সারাদিন
ছাপাখানায় কাজ করে ক্লান্ত শ্রান্ত রফিক বাড়ি ফিরে আর কিছু করার শক্তি পায়
না। কিন্তু রফিক দমে যেতে চায় না। ছাপাখানার মালিকের থেকে সপ্তাহে ২ দিন
বিকেলের পর ছুটি নিয়ে সে নৈশ কলেজে ভর্তি হয়ে আবার লেখাপড়া শুরু করে। দু বছর
পর রফিক জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয়ে ভর্তি হয়েও
সে তার ভালো রেজাল্টের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখে। সমাবর্তনের দিন রফিক তার
মাকে নিয়ে আসে...। হঠাৎ পেছন থেকে কাঁধে ঝাঁকুনি দিয়ে তার বন্ধু রনি বলে, কি
রে রফিক, কি এতো ভাবিস? সন্ধ্যা হলো, বাড়ি যাবি না?