‘মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপন করার জন্য একটি ভাষণ
তৈরি কর।
অথবা, “মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে” যুবসমাজের উদ্দেশে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, “মাদকের অপর নাম মৃত্যু” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উপযোগী একটি ভাষণ তৈরি কর।
অথবা, ‘মাদকাসক্তির কুফল’ সম্পর্কে আয়োজিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনের জন্য প্রধান অতিথির একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, কোনো সেমিনারে উপস্থাপনের জন্য ‘মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, মাদকদ্রব্য সেবনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি কর।
অথবা, “মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে” যুবসমাজের উদ্দেশে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, “মাদকের অপর নাম মৃত্যু” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উপযোগী একটি ভাষণ তৈরি কর।
অথবা, ‘মাদকাসক্তির কুফল’ সম্পর্কে আয়োজিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনের জন্য প্রধান অতিথির একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, কোনো সেমিনারে উপস্থাপনের জন্য ‘মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, মাদকদ্রব্য সেবনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি কর।
‘মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক মহোদয়, বিশেষ অতিথি ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
মাদকাসক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন। এই সর্বনাশা মরণ
নেশার দানবীয় থাবায় পড়ে জাতি আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সুধীমণ্ডলী,
আমরা সকলেই অবহিত যে বিশ্বব্যাপী মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরাও সেই আন্দোলন সংগ্রামে শামিল। মাদকের নেশা
সর্বনাশা নেশা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো এ নেশা বাংলাদেশের সমাজের রন্ধ্রে
রন্ধ্রে আজ জাল বিস্তার করেছে। তরুণ সমাজ আজ এই মরণ নেশার ছোবলে পড়ে সর্বস্বহারা
হচ্ছে এবং জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। তারা নেশার টাকা জোগাতে নানা অসামাজিক কাজে
লিপ্ত হচ্ছে। হাইজ্যাক, খুন, জখম, সন্ত্রাস এসব নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
মানুষ বুদ্ধিবৃত্তির পূজারি, ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। তাই আমরা পারি সব রকম
অন্যায়-অবিচার, মন্দ কাজ ত্যাগ করে সুখে-শান্তিতে থাকার স্বপ্ন দেখতে। চাই
পৃথিবীর মৃদু বাতাসে দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নিতে, সবুজ বনবনানীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ
করতে। কিন্তু শত হতাশা, ব্যর্থতা ও অশুভ ছায়া আমাদের এ আকাঙ্ক্ষাকে গলাটিপে
হত্যা করে। বিশেষ করে আমাদের যুবসমাজ আজ হতাশা ও ব্যর্থতার বালুচরে ডুবে নীতিহীন
ও বিবেকবর্জিত হয়ে ইয়াবা, মদ, গাঁজা, আফিম, পেথেডিন, চরস, হেরোইন, ফেনসিডিলের
মতো মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকাসক্তির জন্য হতাশা, নিঃসঙ্গতা,
দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কুসংসর্গও কম দায়ী নয়।
সুধীবৃন্দ,
আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই মাদকদ্রব্যের অবাধ ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার লক্ষ
করা যায়। ফলে সব বয়সের, সব পেশার লোকদের মধ্যে এ সর্বনাশা নেশা বিস্তার লাভ
করেই চলেছে। অনিবার্য ধ্বংস জেনেও নেশাগ্রস্তরা এ পথ পরিহার করছে না। আমাদের
যুবসমাজের বড় একটি অংশ মাদকাসক্ত হওয়ার ফলে আমাদের জনশক্তি ক্রমশ দুর্বল ও
নির্জীব হয়ে পড়ছে। চিন্তার রাজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মানবিক মূল্যবোধ ও
সামাজিক সম্পর্কের ক্রমাবনতি ঘটেছে। সমাজ তথা গোটা জাতি ধুঁকে ধুঁকে ধ্বংসের পথে
এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রিয় সুধী,
আপনাদের সকলের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, সমাজ থেকে এ দুষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করে
উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। সামাজিক ও
রাজনৈতিক ব্যাধি মাদকাসক্তির যথার্থ প্রতিকারের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি
সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এর কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে
পারিবারিক প্রতিরোধ আরও জোরদার করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করতে হবে,
মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাবে
ন্যায়বিচার, মানবিক চেতনা ও আদর্শবাদ। ফিরে পাবে বাঙালি তথা মানবসভ্যতার হারিয়ে
যাওয়া ঐতিহ্য। গোটা জাতি রক্ষা পাবে এ সর্বনাশা মরণ নেশার কবল থেকে।
এই প্রত্যয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। আল্লা হাফেজ।