একটি মজার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
'টাইগার' আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি যখন গ্রামে যায় তখন ওর আনন্দ হচ্ছে সে
চোখে পড়ার মতো। কেমন যেন মাতোয়ারা হয়ে যায় আমাকে পেলে। ওর রংটা গাঢ় কালো,
গলার কাছে সাদা ডোরা দাগ, উচ্চতা মাঝারি। হ্যাঁ, সে আমার প্রিয় কুকুর। তাকে
নিয়ে একটা ঘটনা বা অভিজ্ঞতার কথাই বলব। যারা কুকুরের আচরণগুলো খুব কাছ থেকে
দেখে তারাই জানে পোষা কুকুরের সাথে বেওয়ারিশ কুকুরের একটি অঘোষিত শত্রুতা
থাকে। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। কারো এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
আমাদের বাড়িতে টাইগারের সঙ্গে আর একজন থাকে। সে হলো প্রিন্স। রং দুধের মত
সাদা। স্বাস্থ্যবান এবং রাগী। সে আমার আদরের বোন আদরের পুষি বিড়াল। পুষি
বাড়িতে থাকলেও টাইগার আর পুষির মধ্যে তেমন ভাব-ভালোবাসা চোখে পড়ে না। একে
অন্যকে এড়িয়ে চলে বলা যায়। সেদিন বিকট চিৎকারের শব্দে জানালা দিয়ে তাকিয়ে
দেখি চার-পাঁচটা বেওয়ারিশ কুকুর আমার টাইগার কে ঘিরে ফেলেছে এবং আক্রমণ করে
প্রায় কোণঠাসা করে ফেলেছে। আমি বিশাল এক লাটি নিয়ে বের হবো হঠাৎ দেখি
প্রিন্সের সে কি অগ্নিমূর্তি! সে এক লাফে টাইগারের পাশে গিয়ে আক্রমনকারী
কুকুরগুলোকে আছড়ে, কামড়ে বিব্রত করে তুলছে। এবং সেটা বেওয়ারিশ কুকুর গুলো
সহ্য করতে না পেরে রণেভঙ্গ দিয়ে পলায়ন করেছে। ওদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি তো
বিস্ময়ে হতবাক। আমার এই নতুন মজার অভিজ্ঞতার সাক্ষী কেউ ছিল না বটে, তবে আমি
যে সত্যের পরিচয় সেদিন পেলাম তা আমার হৃদয়ে আজও অম্লান। একসঙ্গে থাকলে, বিপদে
সাহায্যের হাত বাড়ালে শত্রুও বন্ধু হয় ।