‘নারী নির্যাতন ও পণপ্রথা বিরোধী’ সেমিনারে বক্তব্য রাখার জন্য একটি লিখিত
বক্তব্য/ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখার জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখার জন্য একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা,
পণপ্রথা’র কুফল আলোচনা শীর্ষক সেমিনারে তোমার বক্তব্য পেশ করার জন্য লিখিত
ভাষণ প্রস্তুত কর।
অথবা, ‘যৌতুকের অভিশাপ’ বিষয়ে একটি ভাষণ রচনা কর।
অথবা, ‘যৌতুকের অভিশাপ’ বিষয়ে একটি ভাষণ রচনা কর।
নারী নির্যাতন ও পণপ্রথা বিরোধী সেমিনার
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, আগত সম্মানিত বিশেষ অতিথি, অতিথিবৃন্দ ও সমবেত সুধী, আমাদের
পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ভয়াবহ রূপ নিয়ে দেখা
দিয়েছে নারী নির্যাতন। একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে যখন বিশ্বে দিকে দিকে
নারীমুক্তির আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করেছে, দিকে দিকে জয়ধ্বনি ঘোষিত হচ্ছে
নারীমুক্তির, ঠিক তখনই বাংলাদেশের সংবাদপত্রের পাতায় প্রতিদিন ছাপা হয়ে চলেছে
নারী হত্যাসহ নারী নির্যাতনের এক কলঙ্কিত ইতিহাস।
সুধীবৃন্দ,
বাঙালি সমাজে এক অতি প্রাচীন দুরারোগ্য ব্যাধি পণপ্রথা। কৌলীন্য প্রথা তাকে করে
তোলে ভয়াবহ। মানুষের স্বার্থ, সুখপরায়ণতা, লোভ লালসা ইত্যাদি চরিতার্থতার
জন্য নর-নারীর বিবাহের মতো একটি শুভ সামাজিক অনুষ্ঠান পরিণত হলো পণ্য
ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে। বিবাহের দাঁড়িপাল্লায় পুরুষ নামক চিড়িয়ার বাঙালি
পণ্যের ওজন অধিক, নারী জাতীয় পণ্যের ওজনের তুলনায়। তাই ভারসাম্য রক্ষার
খাতিরে দাঁড়িপাল্লায় নারীর দিকটি ভরিয়ে দিতে হয় অপরিমেয় অর্থ ও পণ্যের
বহুমূল্যমানের সামগ্রী দিয়ে।
এ শুধু নারীত্বের অপমান নয়, গোটা সমাজের অপমান। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে
এসিড নিক্ষেপ করে নারীকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ভয়াবহ পরিণতির দিকে। বিজাতীয়
সংস্কৃতির প্রভাবে উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে মেয়েরা। সর্বোপরি
আছে ফতোয়াবাজদের কুপ্রথা, যা নারীজাতিকে করছে কলঙ্কিত।
সুধীবৃন্দ,
নারীজাতির প্রতি এ নিষ্করুণ নির্যাতন বন্ধ করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের
লজ্জার আর সীমা থাকবে না। এমনকি জাতীয় অগ্রগতিও দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে
পড়বে। তাই অচিরে শুধু কঠোর আইন প্রণয়নই নয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও
নানা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতায় এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
সর্বোপরি সমাজকে অর্থ লোভীদের কবল থেকে মুক্ত করে তাকে প্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত
করতে হবে। তবেই নারী নির্যাতন ও পণপ্রথার চিরাবসান ঘটবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
5 minute r kore dile valo hoto....if you plzz.....
ReplyDelete