নবীনচন্দ্র সেন
নবীনচন্দ্র সেন কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — ১৮৪৭ খ্রিঃ চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর শিক্ষাজীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। — ১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৮৬৫ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ. এ. এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন থেকে ১৮৬৮ সালে বি.এ পাস করেন।
তাঁর কর্মজীবন সম্পর্কে পরিচয় দাও। — বি. এ. পাস করেই তিনি বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান। তিনি ঐ বছরই অর্থাৎ ১৮৬৮ সালে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে চাকরি করেন। ১৯০৪ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
ছাত্রাবস্থায় কোন পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশ পেত? — প্যারীচরণ সরকার সম্পাদিত 'এডুকেশন গেজেট' পত্রিকায়।
'অবকাশরঞ্জনী' তাঁর কোন ভাবধারার কাব্যগ্রন্থ? — দেশপ্রেম ও আত্মচিন্তামূলক।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কী? — 'অবকাশরঞ্জনী'।
'পলাশীর যুদ্ধ' তাঁর কোন ধরনের কাব্যগ্রন্থ? — ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য।
তিনি যে ত্রয়ী কাব্য রচনা করেছেন সেগুলোর নাম কী? — 'রৈবতক' (১৮৮৭), 'কুরুক্ষেত্র' (১৮৮৩), 'প্রভাস' (১৮৯৬)।
এই তিনটি কাব্যকে ত্রয়ী কাব্য বলা হয় কেন? — তিনটি কাব্যকে ত্রয়ী কাব্য বলা হয় কারণ এই তিনটি কাব্যের কাহিনী একই সুতোয় বাঁধা। এই তিনটি কাব্যের নায়কই শ্রীকৃষ্ণ। রৈবতক এ কৃষ্ণের আদি, কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণের মধ্যভাগ এবং প্রভাস এ কৃষ্ণের অন্তর্লীলা বর্ণিত হয়েছে।
নবীনচন্দ্র সেন কি কোনো মহাকাব্য রচনা করেছেন? — ঠিক মহাকাব্য যাকে বলে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে তিনি গ্রন্থ রচনা করেন নি। তবে, তাঁর রচিত রৈবতক, কুরুক্ষেত্র এবং প্রভাস একত্রে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
নবীনচন্দ্র সেন রচিত আত্মজীবনীর নাম কী? — 'আমারজীবন'। এই গ্রন্থটি এই দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের অন্যতম আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচ্য।
নবীনচন্দ্র সেন রচিত অন্যান্য গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর। — ক্লিওপেট্রা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র, খৃষ্ট ও অমিতাভ, গীতা ও চণ্ডীর অনুবাদ।
মানুষ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন? — অসাম্প্রদায়িক ও সমন্বয়বাদী। যিশু খ্রিষ্টের জীবনী লেখার পর হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর জীবনী লেখার ইচ্ছা তিনি পোষণ করেছিলেন। তবে তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন? — ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ শে জানুয়ারি।