পাঠের আনন্দ
বই জ্ঞানের ভাণ্ডার, মননশীলতার স্বপ্ন সিঁড়ি ও নিঃস্বার্থ বিশ্বস্ত বন্ধু। বই পাঠে জানা যায় বিপুল বিশ্ব, মানুষের সহস্র মনোভাবনা ও অনাবিল আনন্দ। পাঠের আনন্দ মানুষকে নিয়ে যায় জ্ঞানের রাজ্যে, বিচরণ করায় বিশ্বসাহিত্যের পাতায় পাতায়। মানুষের মনতুষ্টির জন্য প্রয়োজন বই পাঠ করা। মনের দাবি মেটানোর অবিকল্প মাধ্যম একমাত্র বই পাঠ। এ দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না। আর মানুষের আত্মা সজীব না রাখতে পারলে জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফূর্তি লাভ করে না। ফলে সে জাতি হয়ে ওঠে নির্জীব, নিষ্প্রাণ। আমাদের উচিত বাধ্যগত হয়ে বই পাঠ না করে আনন্দের উপাদান হিসেবে বই পাঠ করা। কারণ বই পাঠে জ্ঞানের গহিন রাজ্যে বিচরণ করা যায়। অর্জন করা যায় বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি প্রভৃতি সম্বন্ধে অগাধ পাণ্ডিত্য। খুলে যায় মনের ভুবন ও স্বপ্নের আকাশ। যত জ্ঞানী-গুণী তাঁদের পদচারণায় পৃথিবীকে ধন্য করেছেন তাঁরা সকলেই ছিলেন বই পাঠে নিমগ্ন। বই পাঠের আনন্দে তাঁরা ছিলেন বিভোর। তাইতো তাঁদের অবস্থান জ্ঞান ও গরিমায় চূড়ায়, মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার স্বর্ণশিখরে। আমাদেরও উচিত পাঠের মাঝে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, বই পাঠের আনন্দ থেকে জ্ঞানের নির্যাস, সত্য ও সুন্দরের অমৃত আয়ত্ত করা।
আরো দেখুন :
রচনা : বই পড়ার আনন্দঅনুচ্ছেদ : বই পড়ার আনন্দ
একটাু ছোট মনে হচ্ছে
ReplyDelete